চাঁদপুর সদর উপজেলার বাগাদী ইউনিয়নে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে সম্প্রতি ২০টি বসতঘর বিলীন হয়েগেছে। বর্ষা মৌসুম শেষে নদীর পানি কমে যাওয়ায় এখন নতুন করে ভাঙন হুমকিতে রয়েছে সহস্রাধিক পরিবার।
শুক্রবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে ভাঙনরোধে দ্রুত প্রদক্ষেপ নিতে অন্তর্বর্তীসরকারের কাছে আহবান জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও এলাকাবাসী। মানববন্ধনে এলাকার বহু নারী-পুরুষ অংশগ্রহণ করে।
স্থানীয়রা জানান, বিগত এক যুগেরও অধিক সময় ধরে ডাকাতিয়া নদীর ভাঙনে বাগাদী ইউনিয়নের ইসলামপুর গাছতলার ৪নম্বর ওয়ার্ডের জমাদার বাড়ি, খান বাড়ি ও গাজী বাড়িসহ প্রায় দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্বে বিলীন হয়েগেছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্য বিলকিস ও তাসলিমা বেগম বলেন, গত এক সপ্তাহে আমাদের গ্রামের ২০ পরিবার বসতঘর ও স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়েগেছে। বর্তমানে মসজিদ, মাদরাসা, বসতবাড়ি, কবরস্থান ও প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ সহস্রাধিক পরিবার ভাঙন হুমকিতে রয়েছে।
একই এলাকার সৈয়দ খান ও জাকির হোসেন বলেন, ইতোমধ্যে ভাঙন সমস্যার কথা জানিয়ে চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিকট একাধিকবার স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। বিগত বছরগুলোতে ভাঙন তীব্র হলে স্থানীয় সাবেক মন্ত্রী-এমপিসহ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একাধিকবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। কিন্তু ভাঙন প্রতিরোধে কোন ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণে এগিয়ে আসেননি।
চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম এই বিষয়ে বলেন, আমরা ডাকাতিয়া নদীর ভাঙন এলাকাগুলো পরিদর্শনে গিয়েছি। নদীর তীরে ভাঙন এলাকায় স্থায়ী বাঁধ নির্মাণে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা চিহ্নিত করে সেখানে ভাঙনরোধে কাজ করা হবে।
যাযাদি/এসএস