সারিয়াকান্দি হাসপাতালে ইপিআই টিকা ও টিকার কার্ড সংকট
প্রকাশ | ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৪৭
সারিয়াকান্দি সরকারি হাসপাতালে শিশুদের বিভিন্ন রোগের টিকা সংকট দেখা দিয়েছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ব্যাসিলাস ক্যালমেট গুয়েরিন (বিসিজি), আর প্রায় মাস খানেক হলো ওপিভি, পিসিভি ও আইপিভি টিটেনাস (টিটি)নেই । শুধু হাম-রুবেলা (এমআর), রক্তকণিকা তৈরির জন্যে পিসিভি ও পেন্টার টিকা আছে। এছাড়াও হাসপাতালে নেই ইপিআই টিকার কার্ড, ফটোকপিতে চলছে কাজ। এ নিয়ে ভবিষ্যতে নানা ভোগান্তিতে পড়ার আশঙ্কায় অভিভাবকরা। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে , সংকট সমাধানে টিকা ও টিকা কার্ডের চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে।
নবজাতক শিশুদের সুষ্ঠুভাবে বেড়ে ওঠার লক্ষ্যে সরকারিভাবে বিনামূল্যে দেশের সব সরকারি হাসপাতাল ও বেসরকারি বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ক্লিনিকের মাধ্যমে শিশুদের সাতটি টিকা দেওয়া হয়। প্রতিদিনই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বা হাসপাতালে প্রতি মঙ্গলবার গিয়ে অভিভাবকরা শিশুদের এ টিকা দিয়ে থাকেন। সেই সঙ্গে গর্ভবতী নারীরাও গ্রহণ করেন একটি টিকা। বিশেষ করে, নবজাতক শিশুদের টিটেনাস থেকে বাঁচাতে টিটি, ধনুষ্টঙ্কার, হুপিং কাশি, হেপাটাইটিস-বি, ইনফ্লুয়েঞ্জাসহ আটটি রোগের প্রতিষেধক হিসেবে পেন্টা, শিশুর রক্তকণিকা গঠনের জন্য পিসিভি, হাম-রুবেলার হাত থেকে রক্ষা করতে এমআর এবং যক্ষ্মা থেকে বাঁচাতে বিসিজি টিকা দেওয়া হয়।
সারিয়াকান্দি হাসপাতাল টিকাদান কেন্দ্রের এমটি (ইপিআই) মো.আল-আমিন জানান, গত কয়েক সপ্তাহ ধরে এ সাতটি টিকার মধ্যে পাঁচটি মিলছে না স্বাস্থ্যকেন্দ্র গুলোতে। তারা শুধু পেন্টা এবং এম আর টিকা দিচ্ছেন এবং বাকি টিকা পরে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এজন্য প্রতিদিন শিশুদের টিকা দেওয়ার জন্য এসে ফিরে যাচ্ছেন মায়েরা।
সারিয়াকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো. মাহমুদুর রহমান সরদার বলেন,সংকট সমাধানে টিকার চাহিদাপত্র দেওয়া হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি পেয়ে যাব টীকা কার্যক্রম আবার স্বাভাবিক হবে।
যাযাদি/ এস