মৌলভীবাজারের মনূ নদে অবধৈভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে ৩ ব্যক্তিকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেই সঙ্গে বালু উত্তোলন সামগ্রীর ড্রেজার মেশিন জব্দ করা হয়েছে। গেল মঙ্গলবার ও বুধবার দিবাগত রাতে পৃথক অভিযানে এ জরিমানা করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনূ নদের কামালপুর ইউনিয়নের নতুন ব্রীজ সংলগ্ন ইসলামপুর এলাকায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন হচ্ছে এমন খবর পান সংশ্লিষ্টরা। খবর পেয়ে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) স্থানীয় তহসিলদার বাঁধা দিলে তারা তা কর্ণপান না করে বালু উত্তোলন করতে থাকে। পরে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানজিদা আক্তার তাৎক্ষনিক ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ইসলামপুরে দুটি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে এমনটি দেখতে পান। তাৎক্ষনিক বালু উত্তোলনে জড়িত থাকা মোঃ রকি হোসেন নামের একজনকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এসময় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত দুটি ড্রেজার মেশিন জব্ধ করা হয়। সহকারী কমিশনার(ভূমি) সানজিদা আক্তার এ প্রতিবেদককে জানান, বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত দুটি ড্রেজার মেশিন নিলামে বিক্রি করা হবে।
এদিকে বুধবার দিবাগত রাত ৯টায় মৌলভীবাজার সদর উপজেলার মনূ নদের সুমারাই ঘাটে অভিযান চালান জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট পিয়াস চন্দ্র দাশ। সরেজমিনে গেলে তারা দেখতে পান, মনূ নদ থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে লম্বা পাইপ লাগিয়ে গ্রামের একটি বাড়িতে বালুৃ উত্তোলন করা হচ্ছে।
এসময় বালু বিক্রেতা ও ক্রেতাদের বালু উত্তোলন ও ক্রয়ের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বললে তারা আর দেখাতে না পারায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারী রাজু মিয়াকে ১ লাখ টাকা ও বালু ক্রয়কারী রায়হান আহমকে আরও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় বালু উত্তোলনে ব্যহহৃত ড্রেজার জব্দ করে একজনের জিম্মায় রাখা হয়। এদিকে স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মনূ নদে বৈধপথে যারা বালু উত্তোলন করে আসছেন, তারা শর্তে দেওয়া সীমানা লঙ্গন করে অন্য জায়গা থেকে দেদারছে বালু উত্তোলন করে আসছেন। এসব আইন ও শর্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থাসহ ইজারা বাতিলের জোর দাবী জানান তারা।
যাযাদি/ এসএম