মানিকগঞ্জ জেলা
ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গ্রেপ্তার
প্রকাশ | ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৮:১২
মানিকগঞ্জে জেলা ছাত্রলীগের সমালোচিত সাংগঠনিক সম্পাদক সামিউর রহমান কম্পনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে তাঁকের গ্রেপ্তার করেছে মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ।
আজ বুধবার দুপুরে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ ছাত্রলীগ নেতার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির কার্যালয় পোড়ানোর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এছাড়া কম্পন হত্যা মামলার ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী ছিলেন। আওয়ামীলীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রী জাহিদ মালেক এবং জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত কোরাইশী সুমনের একান্ত ঘনিষ্ঠ হওয়ায় মারপিট,চাঁদাবাজি দখলবাজি নানা অপকর্ম করে সমালোচিত ছিলেন তিনি। হত্যা চেষ্টা মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত আসামী হয়ে দিনের পর দিন দলীয় কর্মসুচী পালন করলেও পুলিশ কম্পনকে কখনো গ্রেফতার করেনি।
মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় জেলা শহরে শহীদ রফিক সড়কে জেলা বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
এ সময় আগ্নেয়াস্ত্রের গুলিতে জেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রেজাউর রহমান খান আহত হন। এ ঘটনায় গত ২৫ সেপ্টেম্বর পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক ও জেলা জজ আদালতের আইনজীবী মুরাদ হোসেন মানিকগঞ্জ সদর থানায় মামলা করেন।
এ মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের নেতা সামিউর রহমানসহ মানিকগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম ও সদস্য আবদুস সালামসহ ৯১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়।
সূত্র আরও জানায়, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সামিউর রহমান পালিয়ে যান। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে রংপুরের পীরগঞ্জের ডা. এম এ ওয়াজেদ মিয়া টেক্সাটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে অভিযান চালায় মানিকগঞ্জ সদর থানার পুলিশ। এতে সহযোগিতা করে পীরগঞ্জ থানার পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সামিউর কলেজের শহীদ আবু সাঈদ হলের ছাদে উঠে যান। পরে ছাদের পানির বেয়ে নিচে নামার সময় তিনি দ্বিতীয় তলা থেকে নিচে পড়ে আহত হন।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি এস এম আমান উল্লাহ বলেন, গ্রেপ্তার আসামিকে পুলিশ হেফাজতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। সেখান থেকে তাঁকে মানিকগঞ্জে নিয়ে এসে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
যাযাদি/ এম