চট্টগ্রামে ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণকারী লেদু গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৭:৩০

চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: যায়যায়দিন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবর্ষণ করে ফার্নিচার কর্মী মো.ফারুক হত্যা মামলার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি বায়েজিদ বোস্তামি থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবদুল নবী লেদুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-৭।  

বুধবার ( ৬ নভেম্বর) র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. শরীফ-উল-আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এরআগে মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে নগরীর খুলশী থানার গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আবদুল নবী লেদু (৫০) বায়েজিদ বোস্তামি থানাধীন অক্সিজেন মোড় এলাকার আব্দুল হাকিমের ছেলে। তার  বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব জানায়, গত ১৬ জুলাই দেশব্যাপী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে নগরের পাঁচলাইশ মডেল থানার মুরাদপুর এন মোহাম্মদ প্লাস্টিকের বিপরীত পাশে জুমাইরা বিল্ডিং এর সামনে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ সমাবেশ ও শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছিলেন। কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী প্রায় ২ হাজার শিক্ষার্থী ও সাধারণ জনতার ওপর আওয়ামীলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়ি বোমা বিস্ফোরণসহ দা-কিরিচ, লোহার রড, চাপাতি দিয়ে আঘাত, শর্টগান এবং পিস্তল দিয়ে গুলি চালিয়ে বহু ছাত্র জনতাকে আহত করে। এসময় ফার্নিচারকর্মী মো. ফারুক তার কর্মস্থল থেকে বহদ্দারহাটে ভাত খাওয়ার উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় মুরাদপুর পৌঁছালে সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে গুলিতে বুকে, পেটে ও পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়। আশপাশের লোকজন রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা নিরীক্ষা করে তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনায় তার পিতা মো.দুলাল বাদি হয়ে পাঁচলাইশ মডেল থানায় ২৬৯ জনের নামোল্লেখ ও অজ্ঞাত ৪০ ধেকে ৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (গণমাধ্যম) মো. শরীফ-উল-আলম বলেন, এজাহারনামীয় আসামি আবদুল নবী লেদুকে গরীবুল্লাহ শাহ মাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। লেদু মামলা হওয়ার পর থেকে গ্রেপ্তার এড়াতে নগরের বিভিন্ন স্থানে আত্মগোপন করেছিল। তার বিরুদ্ধে নগরীর বিভিন্ন থানায় ৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিকে পাঁচলাইশ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।


যাযাদি/এসএস