নোয়াখালী-ঢাকা রুটে অতিরিক্ত বাস ভাড়া বন্ধে লিগ্যাল নোটিশ ও সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশ | ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৪৬

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
ছবি - যাযাদি

নোয়াখালী-ঢাকা রুটে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় বন্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মকর্তা এবং বাস মালিক মালিকদেরকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন নোয়াখালীর এক আইনজীবী।

বুধবার সকালে মুহাম্মদ শামছুল ফারুক নামে নোয়াখালী জেলা জজ আদালাতের এক আইনজীবী রেজিষ্ট্রি ডাকযোগে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়ছেন বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানান।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, জেলা প্রশাসক ছাড়াও জেলা পুলিশ সুপার, জেলা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক, বিআরটিএ, নোয়াখালীর সহকারী পরিচালক, হিমাচল পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, লাল সবুজ পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং একুশে পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের কাছে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

সকাল ১১টায় নোয়াখালী প্রেসক্লাবের সহিদ উদ্দিন এস্কেন্দার কচি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শামছুল ফারুক বলেন, ‘নোয়াখালীর সোনাপুর থেকে ঢাকার দূরত্ব ১৬২ কিলোমিটার। দূরত্ব অনুযায়ী এ রুটে বিআরটিএ নির্ধারিত বাস ভাড়া ৪৪৯ টাকা। কিন্তু যাত্রীদের কাছ থেকে বাস মালিকরা আদায় করে ৫০০ টাকা। অতিরিক্ত ৫০ টাকা ভাড়া আদায় সম্পুর্ণরূপে বেআইনী এবং অন্যায় হলেও এ বিষয়ে প্রশাসন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না।’
লিগ্যাল নোটিশ পাওয়ার ৪৮ ঘন্টার মধ্যে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধ করার পাশাপাশি এতোদিন বাড়তি ভাড়া আদায়ের অপরাধে বাস মালিকদের জরিমানা হিসেবে আগামী এক বছরের জন্য নির্ধারিত ভাড়া ৪৪৯ টাকা থেকে কমিয়ে ৪০০ টাকা করে নেওয়ার জন্য পরিবহণ মালিকদেরকে নির্দেশনা প্রদানের দাবি জানান এই আইনজীবী।

লিগ্যাল নোটিশ প্রদানকারী আইনজীবী শামছুল ফারুক বলেন, ‘প্রতিদিন নোয়াখালী-ঢাকা রুটে ১০ হাজারের অধিক যাত্রী পরিবহন করেন। তাদের কাছ থেকে প্রতিদিন অতিরিক্ত ৫ লাখ টাকা, মাসে দেড় কোটি টাকা এবং বছরে ১৮ কোটি টাকার মতো অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে নিচ্ছে পরিবহন মালিকরা। কিন্তু এ বিষয়ে অতীতে আমাদের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সামাজিক নেতৃবৃন্দ বা প্রশাসন কোন ব্যবস্থাই নেয়নি এবং নিতেও চায় না। পরিবহন কর্তৃপক্ষের কাছে মনে হয় যেন উনারা জিম্মি হয়ে আছেন এবং নতুন কোন পরিবহনও আমাদের এখানে আসতে পারতেছেনা দীর্ঘদিন যাবত। এ বিষয়ে প্রতিকারের জন্যই আমার এ আইনী নোটিশ। আমি আশা করবো যে এ আইনী নোটিশের মাধ্যমে প্রশাসন যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’

তিনি আরো বলেন, ‘জনগণ আসলে জানেনা সরকারি ভাড়াটা কত। প্রশাসন জানে, মালিক কর্তৃপক্ষ জানে। প্রশাসন এবং মালিক কর্তৃপক্ষের ভেতরে মনে হয় যেন একটা গোপন আতাত আছে। যার কারণে ভাড়াটা কমতেছেনা।’

এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা প্রশাসক খন্দকার ইসতিয়াক আহমেদ বলেন, ‘লিগ্যাল নোটিশের বিষয়ে জানা নেই। তবে অতিরিক্ত বাস ভাড়া আদায় সংক্রান্ত বিষয়ে রিখিত অভিযোগ পেলে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে আমরা অবশ্যয়ই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।’

যাযাদি/এসএস