বুধবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ২১ কার্তিক ১৪৩১

সিরাজগঞ্জে মা-ছেলেকে হত্যার দায়ে একজনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি
  ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৭
ছবি: যায়যায়দিন

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলতাব হোসেন মুকুল ও তার বৃদ্ধ মা রিজিয়া খাতুনকে কুপিয়ে ও রগ কেটে হত্যার করার দায়ে এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড ও সাত জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সিরাজগঞ্জ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী মো. হাফিজুল ইসলাম উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্ব মহেশপুর গ্রামের মো. শাহজাহান প্রামাণিকের ছেলে। যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রাপ্তরা হলেন, মহেশপুর গ্রামের দেলোয়ার হোসেন ওরফে দুলাল (৫৫), মো. বাচ্চু মিয়া (৪৩), মো. দুলাল সরকার (৬০), মাসুদ উল্লাহ ওরফে রতন (৪০) রহমত উল্লাহ পান্না (৪৩), মো. রফিকুল ইসলাম (৬২) ও মো. বদিউজ্জামান (৬০)।আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট জাহিদা সুলতানা বীথি এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার বিবরণে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ২০১৯ সালের ২৬ জুন রাত ৯টার দিকে সাবেক সেনা সদস্য আলতাব হোসেন মুকুল ও তার বৃদ্ধ মা রিজিয়া খাতুনকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। পরদিন সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ২৭ জুন নিহত আলতাব হোসেন মুকুলের স্ত্রী মোছা. শামীম আরা অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি তদন্তকালে পুলিশ হাফিজুল ও আবুল কালাম আজাদ নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে ২০২০ সালের ১৩ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট জমা দেয় পুলিশ। প্রসিকিউটর ২০ জন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করেন। এদিকে বিচার চলাকালে আসামি আবুল কালাম আজাদ মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। দীর্ঘ শুনানি শেষে মঙ্গলবার বিচারক এই আদেশ দেন।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট মো. আবু বক্কার সিদ্দিক ও সহকারী পিপি অ্যাডভোকেট জাহিদা সুলতানা বিথি। আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট এসএম দেলোয়ার হোসেন মন্টু, অ্যাডভোকেট মো. আসিফ আজাদ (রাতুল) ও অ্যাডভোকেট সেরাজুল ইসলাম আকন্দ।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে