নেছারাবাদ উপজেলার সুটিয়াকাঠি ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডে এনামুল মাস্টারের দ্বিতল ভবনে আজ দুপুর ১২ হইতে ১ টার মধ্যে দুর্ধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। ডাকাতির সময় ডাকাতরা ভবনের বিভিন্ন রুম তছনছ করে স্বর্ণালংকার সহ দামিও জিনিসপত্র নিয়ে যায়। ভবনে এনামুল মাস্টার ও তার ভাই রিয়াজ বসবাস করেন।
ডাকাতের সময় ওই বহনে এনামুল মাস্টারের মা শেফালি বেগম (৭০) একাই ছিল। তার নাতি মাদ্রাসায় এবং ছেলের বউরা চাকরির সুবাদে কর্মস্থলে ছিলেন। নাতি তাহাজিবের মাদ্রাসা ছুটি হলে একটার সময় ভবনে এসে দেখে প্রত্যেকটি রুম তছনছ করা এবং একটি রুমে তার দাদি শেফালি বেগমকে দোলনার দড়ি দিয়ে হাত-পা বাঁধা এবং মুখে একটি বস্তা দিয়ে মুখ আটকে দেখতে পায়। তাহজিব সে সময় তার দাদিকে মুখের বস্তাটি সরিয়ে নাড়াচাড়া দিলে কোন সাড়া শব্দ না পেলে সে বাড়ির আশেপাশের লোকজন ডাক দেয়।
বাড়ির লোকজন আসার পরে নেছারাবাদ থানায় খবর দিলে নেছারাবাদ থানা অফিসার ইনচার্জ বনি আমিন, এ এস পি নেছারাবাদ সার্কেল সাবিহা মেহেবুবা সহ বিভিন্ন অফিসার ঘটনাস্থলে আসেন এবং পরিদর্শন করেন।
শেফালি বেগমের ছেলের বৌ শ্রাবণী বলেন, আমি আমার কর্মস্থল থেকে আসার পর আমার ছেলে তাহজীব এর নিকট ঘটনা শুনি। ডাকাতরা শুধু ডাকাতিই করে নাই তাঁরা আমার শাশুড়িতে হত্যা করে ভবনের প্রত্যেকটি রুম তছনছ করে স্বর্ণালংকার সহ বিভিন্ন ধরনের দামিও জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। শ্রাবন্তী প্রশাসনের কাছে শাশুড়ি হত্যার বিচার দাবি করেন।
লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পিরোজপুর মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোন মামলা হয়নি।
যাযাদি/এসএস