ওসমানীনগর উপজেলার সাদীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা সাহেদ আহমদ মূসার পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল শেষে ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচী পালন করেছে এলাকার বিক্ষুব্ধ ছাত্র জনতা।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে সিলেট-ঢাকা মহাসড়কের শেরপুর টোলপ্লাজা নামক স্থান থেকে ছাত্র জনতার সমন্বয়ে একটি মিছিল সাদীপুর ইউপি কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিকাল ৪টার মধ্যে পদত্যাগের সময় বেঁধে দেন। তবে এসময় চেয়ারম্যান কার্যালয়ে ছিলেন না।
এদিকে ইউপি কার্যালয়ের সামনে ছাত্র জনতার অবস্থানকালে সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান শামিম আহমদ মেম্বারকে ইউপি কার্যালয়ে দেখে তার উপর চড়াও হন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি দ্রুত কার্যালয় ছেড়ে চলে গেলে শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া ভুয়া’ বলে শ্লোগান দেয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নাঈম আহমদ, জুমান কোরেশি, শাহ উসামা আহমদ রাগিব, সৈয়দ ফারহান আহমদ মুরসালিন, শাহ মাহমুদ, সৈয়দ মুজাক্কির আহমদ, আল মাহদী, সিরাজুল ইসলাম, আতিকুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, মাসুমা আক্তার, সামিরা রহমান, তাম্মি আকতার, কনিকা জান্নাত, আসমা আক্তার মিনু, রাহিমা বেগম, জিসান আহমদ, মো. সায়মন সহ শতাধিক ছাত্র জনতা।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মুসা ছুটি নিয়ে শামিম আহমদ মেম্বারকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দিয়ে যুক্তরাজ্যে চলে যান । সম্প্রতি তিনি দেশে ফিরে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিলে ৪ নভেম্বর সকালে ইউপি কার্যালয়ের সামনে এসে তার পদত্যাগ দাবীতে আন্দোলনের ডাক দেয় স্থানীয় ছাত্র জনতা।
প্রসঙ্গত , গত ৪ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে শেরপুর গোল চত্বরে শেখ হাসিনার পদত্যাগের দাবীতে সারা দেশের সাথে আন্দোলন করে স্থানীয় ছাত্র জনতা। তখন আওয়ামীলীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কর্মীরা আন্দোলনকারীদের উপর হামলা করলে আহত হন, ছাত্রনেতা জুমান কোরেশি, সৈয়দ ফারহান আহমদ মুরসালিন, উমর আলী ও সায়মন।
শিক্ষার্থীদের দাবী, ওই দিন আওয়ামীলীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মূসা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইমরান হোসেন, ওলি মিয়া, শুভাস, চিশতি, আলাউদ্দিন, শামিম আহমদ মেম্বার, মুহিব আহমদ, সাকি ও সালমানসহ আরো বেশ কয়েকজন হামলা করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান সাহেদ আহমদ মূসা বলেন, আমি মারামারিতে অংশ নেইনি, বিষয়টি ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
যাযাদি/ এম