নোয়াখালীতে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র-মাদকসহ ৫ সন্ত্রাসী গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেসব্রিফিংয়ে
চট্রগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, মঙ্গলবার ভোররাতে সেনবাগ ও সোনাইমুড়ী উপজেলায় পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব আগ্নেয়াস্ত্র, গোলাবারুদ ও মাদক উদ্ধার করা হয়।
অভিযানে গ্রেপ্তারকৃতরা নোয়াখালীর চাটখিল পৌরসভার ছয়ানী টগবা গ্রামের বড় ভূঁইয়া বাড়ির বাবলুর ছেলে বাদল হোসেন (২১), রামনারায়নপুর ইউনিয়নের রুইতখালী এলাকার আমির প্রয়াত আব্দুস সাত্তারের ছেলে মো. রবিন (২৮), কুমিল্লার লালমাই উপজেলার সৈয়দপুর গ্রামের প্রয়াত জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মুরাদ হোসেন (২২), সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের হাজী বাড়ির সাইফুল আলম মানিকের ছেলে মো. বাহার (৩০) ও বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নের কামাল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন (২৬)।
প্রেসব্রিফিংয়ে ডিআইজি ডিআইজি মো. আহসান হাবীব পলাশ বলেন, সেনবাগ উপজেলার সেবারহাট বাজারের টহলরত পুলিশ সায়েদ প্লাজার সামনে নোয়াখালী-ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের উপর তল্লাশি চৌকি বসিয়ে সন্দেহভাজন গাড়ি তল্লাশির সময় ১২ কেজি গাঁজা ও ১০টি অস্ত্রসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী সোনাইমুড়ী উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের আকরাম উদ্দিন হাজী বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে সেখান থেকে ৯টি ম্যাগাজিন, ৫টি বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশীয় তৈরি এলজি এবং ২৭৭ রাউন্ড পিস্তলের গুলিসহ মো. বাহারকে আটক করা হয়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি বলেন, নোয়াখালী জেলাকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি সন্ত্রাসী চক্র বিপুল পরিমাণে অস্ত্র গুলি মজুদ করার চেষ্টা করছে এমন তথ্য পেয়ে পুলিশ সদর দপ্তরের সহযোগিতায় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের বিষয়ে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। সে তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় অস্ত্র ও মাদকের একটি বড় চালান চট্রগ্রাম থেকে নোয়াখালী জেলায় আসবে। আমরা চট্রগ্রামের টিম গ্রেপ্তার না করতে পারলেও নোয়াখালী টিম অভিযানে সফল হয়েছে। আসামি বাদল হোসেন, মো. রবিন, আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন জেলার বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।
ডিআইজি আরও বলেন, বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের আমাদের হেডকোয়ার্টার থেকে বিশেষ প্রতিনিধি দল নিযুক্ত হয়েছে। আমরা গুরুত্বের সাথে বিষয়গুলো দেখছি। আসামিদের বিচারিক আদালতে সোপর্দ করা হবে এবং আগামীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রেসব্রিফিংয়ে চট্রগ্রাম রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি নেছাঁর উদ্দীন আহমেদ, নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আব্দুল্লাহ-আল-ফারুক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ ) বিজয়া সেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মোহাম্মদ ইব্রাহীম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. মোর্তাহীন বিল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বেগমগঞ্জ সার্কেল) মোহাম্মদ নাজমুল হাসান রাজিব, সহকারী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) মো. আমান উল্লাহসহ জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/ এম