মিঠাপুকুর উপজেলার ০৩ নং পায়রাবন্দ ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রিয় চেয়ারম্যান এবং রংপুর জেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি- মাহবুবার রহমান মাহাব হত্যার এক বছর পেরিয়ে গেলেও হত্যার রহস্য উদঘাটন এবং মূল পরিকল্পনাকারীকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এদিকে কি কারনে জনপ্রিয় এই চেয়ারম্যানকে হত্যা করা হয়েছে এক বছরেও তা জানতে পারেনি নিহতের পরিবার। মামলার একমাত্র আসামি একজন মানুষিক বিকারগ্রস্ত এবং মাদকাসক্ত হওয়ায় এই হত্যাকান্ডে তাঁকে খুনির চরিত্রে ব্যবহার করা হয়েছে বলে ধারণা স্থানীয়দের।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়,গত বছরের ৫ নভেম্বর রাতে প্রতিদিনের মতো ইউনিয়ন পরিষদের কার্যক্রম শেষে চেয়ারম্যান মাহাবুবার রহমান পায়রাবন্দ বাজারে তার নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স মডেল ফার্মসি বন্ধ করে নিজ বাসায় ফিরছিলেন। এসময় পথিমধ্যে ওঁত পেতে থাকা হারুন নামে এক যুবক তার ভাইয়ের দোকানের মাছ কাঁটার বটি দিয়ে আকস্মিক পিছন থেকে চেয়ারম্যানকে হত্যার উদ্দেশ্যে গলায় কোপ মারেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। ঘটনাস্থল থেকে খুনি হারুন নামে এক যুবকে আটক করে স্থানীয়রা। পরে প্রায় ঘন্টাব্যাপি চেষ্টা চালিয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে খুনি হারুনকে উদ্ধার করে মিঠাপুকুর থানায় নিয়ে আসেন।
চেয়ারম্যানকে হত্যার ঘটনা জানাজানি হলে সাধারণ জনতা এবং তার অনুসারীরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। এমনকি তার মৃত্যুর খবর শুনে তার বন্ধু হার্ট অ্যাটাক করে মারা যায়। পরদিন পোস্ট মর্টেম শেষে তার মরদেহ পায়রাবন্দ বেগম রোকেয়া সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা হলে চেয়ারম্যানের জানাজার নামাজে জনতার ঢল নামে। দু'দফায় জানাজা শেষে তাঁকে তাঁর নিজ গ্রাম পায়রাবন্দ ইউনিয়নের জাফরপুর গ্রামে তার পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। চেয়ারম্যান মাহবুবার রহমান মাহাব হত্যার সত্য উদঘাটন করে অপরাধীদের শাস্তি দাবি করেছেন তার পরিবার এবং এলাকাবাসী।
যাযাদি/এসএস