পরকীয়ার জেরে স্ত্রীসহ প্রেমিককে কুপিয়ে পলাতক স্বামী!

প্রকাশ | ০৪ নভেম্বর ২০২৪, ১৫:৩০

শ্রীপুর (গাজীপুর)প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

গাজীপুরের শ্রীপুরে পরকীয়া জেরে স্ত্রীসহ প্রেমিককে কুপিয়েছে আজিজুল ইসলাম নামে এক স্বামী। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছেন আশরাফুল ইসলাম নামের ওই পরকীয়া প্রেমিক। এসময় মুমূর্ষু অবস্থায় হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান স্ত্রী তাসলিমা।   

সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালের দিকে পৌর এলাকার কেওয়া চন্নাপাড়া গ্রামের আজিজুল মিস্ত্রির বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত আশরাফুল ইসলাম (৩৫) দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার পলিবটতলী গ্রামের আব্দুল ওয়াহাবের ছেলে। তিনি চন্নাপাড়া এলাকায় জায়গা ভাড়া নিয়ে এস এস ফ্যাশন নামে একটি কারখানা পরিচালনা করতেন।

তাসলিমা খাতুন (২৮) ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আজিজুল হকের স্ত্রী।

অভিযুক্ত আজিজুল হক (৩০) ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার বালিপাড়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার চন্নাপাড়া গ্রামে জমি কিনে বাড়ি করে বসবাস করছেন। এ ঘটনার পর থেকেই  আজিজুল পলাতক রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ময়মনসিংহের ত্রিশাল থেকে এসে ১৫ বছর ধরে শ্রীপুরের চন্নাপাড়ায় বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতেন আজিজুল। ৩বছর আগে ওই স্থানেই জমি কিনে বাড়ি করে দুই সন্তান ও স্ত্রীকে নিয়ে বসবাস শুরু করেন তিনি। তার স্ত্রী এস এস ফ্যাশন নামক কারখানায় চাকরি করতো। এই সুবাদে কারখানা মালিক আশরাফুল ইসলামের সাথে তাসলিমার সখ্যতা গড়ে উঠে। মাঝেমধ্যেই দুজনের মধ্যে যোগাযোগের বিষয়টি স্বামীর কাছে সন্দেহ হলে স্ত্রীকে চোখে চোখে রাখেন আজিজুল। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিজ ঘরে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে দুজনকেই এলোপাথাড়ি কুপিয়েছেন তিনি। এ সময় পরকীয়া প্রেমিক আশরাফুল ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে স্থানীয়রা আজিজুলের স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানোর সময় রাস্তায় তার মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন একটি সুত্র।

শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জয়নাল আবেদীন মন্ডল যায়যায়দিনকে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আশরাফুল ইসলাম নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহিদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাসলিমাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বাড়ির মালিক আজিজুল পলাতক রয়েছে। তাঁকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। তদন্তের পর এ ঘটনার রহস্য  উদঘাটনের পাশাপাশি পরবর্তী আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। "

যাযাদি/এসএস