বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো.আমির হোসেন (২৮) লাশ ১০৭ দিন পরে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
রবিবার (০৩ নভেম্বর) বেলা ১২ টার দিকে উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের মৌপাড়া এলাকার পারিবারিক কবর থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়। বরগুনা জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তারিকুল ইসলামের উপস্থিতে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই বেলা ২ টার দিকে ঢাকা রামপরা একরামুন নেছা ডিগ্রি কলেজ এলাকার উলান সড়কে জুম্মা নামাজ পড়ে ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বরন করেন আমীর হোসেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে একটি বেসরকারি ক্লিনিকে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। ওইদিন রাতেই মরদেহ বরগুনা জেলার তালতলী উপজেলার মৌপাড়া গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
এ ঘটনায় নিহত আমীরের স্ত্রী আননী বেগম ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা,সাবেক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। মামলার পরিপেক্ষিতে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে উত্তোলন করার নির্দেশ দেয় আদালত। এ ঘটনায় বরগুনা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্তের জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো.তারিকুল ইসলাম লাশ উত্তোলনের সার্বিক দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেন।
পিবিআই তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো.মাসুদ রানা বলেন, নিহতের স্ত্রীর আদালতে মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে আদালত লাশ ময়না তদন্তের আদেশ দেন। আদালতের নির্দেশে ন্যায় বিচারের স্বার্থে ময়না তদন্তের জন্য লাশ উত্তোলন করে বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
যাযাদি/এসএস