বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক মন্ত্রী ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেছেন, হাসিনা বাড়া ভাত খেতে পারেন নাই, হেলিকপ্টারে করে পালিয়েছে। আল্লাহ বলেছেন যে আমি নির্যাতনকারীকে নির্যাতন করতে দেই। নির্যাতন শেষ হলে আমি তাকে টান দেই। হাসিনা অহংকার করেছিল আল্লাহ তাকে পতন ঘটিয়েছে। তাই আপনারা কেউ অহংকার দেখাবেন না।অহংকার দেখালে কি হয় তা এদশের মানুষ দেখেছে। গত ১৬টা বছর আওয়ামীলীগ গুম, খুন লুটপাট করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। তারা এদেশের মানুষের উপর নির্যাতনের স্ট্রেমরোলার চালিয়েছিল।
শনিবার বিকেলে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়াহরিপুর স্কুল মাঠে সদর থানা বিএনপি আয়োজিত বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ আব্দুল আলিম ও সোহানুর রহমান রঞ্জুর স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন,তারা ক্ষমতায় এসে মানুষে উপর কি পরিমান অত্যাচার-নির্যাতন, দুনীতি-লুটপাট করেছে তা দেশের জনগন ইতোমধ্যে জেনে গেছে। আওয়ামীলীগ এদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে একতরফা নির্বাচন করেছে। তার অধীনে যতগুলো নির্বাচন হয়েছে সব অবৈধ। জনগন নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি।
ইকবাল হাসান মাহমুদ বলেন, সিরাজগঞ্জের এক রাজার জন্ম হয়েছিল। সেই রাজার নির্দেশে আমাকে সিরাজগঞ্জে আসতে দেয়া হয়নি। সিরাজগঞ্জে আসলেও গৃহবন্দী করে রাখা হয়েছিল। তার নির্দেশে বিএনপির সভাপতি রুমানা মাহমুদকে দ’ুবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। আমাকে একবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল। তিনি দুর্নীতির উদাহরন টানতে গিয়ে তিনি বলেন, সিরাজগঞ্জে একজন চেয়ারম্যান ৫শ কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। এসব টাকা জনগনের টাকা। এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমাকে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাজা দেয়া হয়েছিল। আমিও আল্লাহকে বলেছিলাম হাসিনার জেলে আমি জেল খাটবো না-প্রয়োজনে আমার লাশ দেশে যাবে। আল্লাহ দোয়া কবুল করেছে। আজ সেই হাসিনার বিরুদ্ধে সত্য কথা বলার জন্য আমাকে আল্লাহ তায়ালা দেশে এনেছে। সমাবেশ শেষে তিনি দুইজন শহীদ পরিবারকে ১লক্ষ টাকা করে অনুদানের চেক প্রদান করেন। সদর থানা বিএনপির সভাপতি মোঃ রফিক সরকার এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এ্যাড. নাজমুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি রোমানা মাহমুদ, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুর রহমান দুলাল নাজমুল হাসান তালুকদার রানা, যুগ্ম সম্পাদক নুর কায়েম সবুজ, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মুন্সী জাহিদ আলম, জেলা যুবদলের সভাপতি মির্জা আব্দুল জব্বার বাবু, সাধারণ সম্পাদক মুরাদুজ্জামান মুরাদ, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি জুনায়েত হোসেন সবুজ প্রমুখ।
যাযাদি/এসএস