মুন্সীগঞ্জ সদরের শান্ত আহমেদ (৩৫) নামে এক যুবদল নেতার রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার্ধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।
পুলিশ বলছে, ওইদিন রাত ১০ টার দিকে মেঘনা নদীতে স্পিডবোট ও ইঞ্জিন চালিত মাছ ধরার ট্রলারের মধ্যে সংঘর্ষে যুবদল নেতার মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আরো ৪ জন আহত হয়। তবে নিহতের পরিবারের দাবী হচ্ছে, পরিকল্পিত ভাবে যুবদল নেতাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহত শান্ত জেলা সদরের চরকেওয়ার ইউনিয়নের উত্তর চরমশুরা গ্রামের বোরহান সরকারের ছেলে ও সদর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক।
পুলিশ জানায়, ঘটনার দিন রাত ১০ টার দিকে স্পিডবোটে করে ৮-১০ জনের একটি গ্রুপ নিয়ে জাজিরা গ্রাম সংলগ্ন মেঘনা নদীতে যান যুবদল নেতা শান্ত। এসময় দ্রুত গতির ইঞ্জিন চালিত একটি মাছ ধরার ট্রলারের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে ৫ জন গুরুতর আহত হয়। তাদের মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক শান্ত আহমেদ (৩৫), শামীম (৩৫), শাহাদাত (৩৮) ও মিন্টুকে (৪৫) ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করে। পরে সেখান থেকে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে নেওয়া হলে রাত আড়াইটার দিকে শান্ত মারা যান।
নিহতের ছোট ভাই মামুন সরকার বলেন, ঘটনাটি পূর্বপরিকল্পিত হত্যাকান্ড। আমার ভাই নদীতেই যায়নি। স্পিডবোটের সাথে ট্রলারের সংঘর্ষ হলে তার শরীর একটু হলেও পানিতে ভেজা থাকতো। তাছাড়া তার বুকের পাজর ভেঙে গেছে। মাথায় ধারালো বস্তুর আঘাতের চিহ্ন আছে। আবার তাকে নদীর পার থেকে একটি সাদা হাইস গাড়িতে করে হাসপাতালে আনা হয়েছে। তাছাড়া ওই গাড়িটি কার।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. বিল্লাল হোসেন বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি স্পিডবোট ও ট্রলার মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করছে। তবে এ ঘটনার পেছনে অন্য কোন ঘটনা রয়েছে কিনা-সে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
যাযাদি/এসএস