ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির (চরমোনাই পীর) মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করিম বলেছেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের যে গনঅভ্যুত্থান হয়েছিল সেখানে ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের ছাত্ররা সহ আমাদের সকল নেতাকর্মী মাঠে ছিল।নতুন সরকার গঠনের পর হিন্দুদের পূজা অর্চনা করতে কোন ষড়যন্ত্র না চলে সেদিকেও দলীয় নেতাকর্মীরা সজাগ ছিল। অথচ এক শ্রেনীর দলীয় লোকজন তারা লুটপাট অবৈধ দখল দারিত্ব শুরু করেছে। ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ করছে, তখন রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কেউ কেউ নির্বাচন কালকে হলেই বাঁচে। দেশের কী হবে দেখার দরকার নাই, তারা তাদের কথা বলছে, নির্বাচনের রোডম্যাপ চাইছে।’শুক্রবার বিকেলে নড়াইল শহরের পুরাতন বাস টার্মিনালে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ নড়াইল জেলা শাখা আয়োজিত গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ছাত্র-জনতার আন্দোলনের সময় সংঘটিত গণহত্যার বিচার, দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তার, অবৈধ সম্পদ বাজেয়াপ্ত ও তাঁদের নির্বাচনে অযোগ্য ঘোষণা এবং সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে’ এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।রেজাউল করিম বলেন, ‘আমরা পরিষ্কারভাবে বলেছি, আপনারা (অন্তর্বর্তী সরকার) যে জনগণের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় আছেন, দেশ পরিচালনা করছেন, যুগ যুগ ধরে এত সমর্থন নিয়ে এ দেশে কোনো সরকার দেশ চালায় নাই। আপনাদের ভয় কোথায়? দুর্বলতা কোথায়? এখনো রক্ত শুকায় নাই। খুনিরা কীভাবে বর্ডার (সীমান্ত) পার হয়ে অন্যত্র চলে গেল? এই খুনিদের ধরতে হবে। এই খুনিদের বিচার বাংলার মাটিতে হতেই হবে। যারা এ দেশকে বিদেশের অঙ্গরাজ্য বানানোর জন্য বিভিন্ন কায়দায় চুক্তি করেছিল, যে চুক্তির মধ্যে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থরক্ষা হয় নাই। সব ভারতের স্বার্থ রক্ষা করেছিল। সেই দালালেরা এবং যারা খুন করেছে, বাংলাদেশি টাকা পাচার করেছে, তারা বাংলাদেশে নির্বাচন করতে পারবে না। তাদের অযোগ্য ঘোষণা করতে হবে।’চরমোনাই পীর বলেন, ‘আজকে ইসলামের পক্ষে, দেশ গড়ার পক্ষে ও মানবতার পক্ষে একটা পরিবেশ তৈরি হয়েছে। আমরা বারবার যেন আর ভুল না করি। যাদের আমরা দেখেছি, দ্বিতীয়বার দেখার কিছু নাই। ইসলামকে আমরা শুনেছি, দেখি নাই। যখন আমরা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সেভাবে পরিচালনা করতে পারব, শান্তি কাকে বলে দেখতে পাবেন।’
ইসলামী আন্দোলনের নড়াইল জেলার সভাপতি মাওলানা মোঃখায়রুজ্জামানের সভাপতিত্বে গণসমাবেশে দলটির মহাসচিব মাওলানা ইউনুস আহম্মদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান, কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্যবিষয়ক সম্পাদক মোঃ জান্নাতুল ইসলাম,ইসলামি আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ছাত্র নেত্রীবৃন্দসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী ও চরমোনাই মুরিদসহ সাধারণ মানুষ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
যাযাদি/এসএস