পূর্বধলায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট, বিপাকে খামারিরা  

প্রকাশ | ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৪:৩০

পূর্বধলা (নেত্রকোণা) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

নেত্রকোণার পূর্বধলায় গো-খাদ্যের তীব্র সংকট চলছে। এতে গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন খামারীর মালিকেরা। খাদ্য সংকটের কারনে অনেকেই বিকল্প হিসেবে কচুরীপানা খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন। আবার কেউ কেউ বিভিন্ন এলাকা থেকে চড়া মুল্যে গো-খাদ্য সংগ্রহ করতে বাধ্য হচ্ছেন।  

উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে সাম্প্রতিক সময়ে বন্যার কারনে উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়ে পড়ে। এছাড়া অন্যান্য ইউনিয়নেও নীছু এলাকা প্লাবিত হয়ে পড়ে। এতে মাঠের ফসল বিনষ্ট হয়ে যায় আর মাঠে পানি উঠে যাওয়ায় ঘাসও মরে যায়।

 এতে উপজেলার কৃষক ও খামারীরা গরু ছাগলের খাবারের জন্য শুধুমাত্র বনের (খড়) উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এতে মওজুদকৃত গরুর খাদ্য বন দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন খামারীর মালিকরা। অনেকেই খাদ্যের সন্ধানে বিভিন্ন জায়গায় ছুটোছুটি করছেন। প্রতিদিনই বিভিন্ন এলাকা থেকে হ্যান্ডট্রাক্টর, পিকআপ, অটো দিয়ে গো-খাদ্য হিসেবে খড় ক্রয় করে আনতে দেখা যাচ্ছে। সংকট মোকাবেলায় কেউ কেউ খাদ্যের বিকল্প হিসেবে কুচুরীপানা খাওয়াতে বাধ্য হচ্ছেন। আর এই সংকটের কারনে বিক্রেতারাও দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন বলে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করছেন। গো-খাদ্যের সংকটের কারনে কেউ কেউ গরু বিক্রি করে দিচ্ছেন বলেও জানা গেছে। 

উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের বখতিয়ার উদ্দিন জানান, গো খাদ্যের সংকটের করনে তিনি তার দুটির গরু অপেক্ষাকৃত কম দামে বিক্রি করে দিতে বাধ্য হয়েছেন। 

উপজেলার ঘাগড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হামিদ জানান, বর্তমানে গরুর খাদ্য খুব চড়া ও ওজন দরে বিক্রি হচ্ছে। এক মন খড়েরর দাম ১হাজার থেকে ১২শ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। 

খামারী মালিক মো: মেহেদী হাসান জানান, ৫মন খড় তিনি শ্যামগঞ্জ এলাকা থেকে ৫হাজার টাকা দিয়ে সংগ্রহ করেছেন। 

কৃষক মো: মঞ্জুরুল হক বলেন, বর্তমানে যান্ত্রিক মাড়াইকল দিয়ে ফসল মাড়াইয়ের কারনে গরুর খাদ্য উৎপাদন ঘাটতি দেখা দেয়। এতে পরবর্তী ফসল কাটার আগেই গো-খাদ্যের সংকট দেখা দেয়। 
   
উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা এমএম আব্দুল আউয়াল বলেন, অসময়ের বন্যার কারনে উপজেলায় গো খাদ্যের সাময়িক কিছুটা সংকট দেখা দিয়েছে। তবে বর্তমানে ফসল কাটা শুরু হলেই সংকট কেটে যাবে বলে তিনি জানান।    

যাযাদি/ এসএম