নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কবিরাজের দেওয়া কৃমির ওষুধ খেয়ে শিশুসহ একই পরিবারের ৭ জন গুরুতর অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (০১ নভেম্বর) সকালে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অসুস্থ হওয়ার পরে তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে সকলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
অসুস্থ্যরা হলেন, একই পরিবারের ফারুক মিয়া (৩৫), কামরুন নাহার (৩০), রাবিয়া বেগম (৬০), হুসনে আরা (৬৫), শিশুদের মধ্যে মুজাহিদ (৯), ইকরা (৭) ও ইলমা (৩)।
স্বজনরা জানান, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজয়পুর গ্রামের এক কবিরাজের কাছ থেকে কৃমির ওষুধ আনা হয়। শুক্রবার সকালে সবাই একইসাথে খালি পেটে খাওয়ার পরপরই একের পর এক সবাই অজ্ঞান হতে থাকেন। এসময় পরিবারের লোকজন চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে তাদের দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশংকাজনক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন।
স্বজন হনুফা আক্তার বলেন, কবিরাজের দেওয়া কৃমির ঔষধ খেয়েই সবার এই অবস্থা। সকলকে উন্নত চকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছি। শিশুদের অবস্থা ভালো মনে হচ্ছে না।
দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আবাসিক মেডিকেল অফিসার মো. তানজিরুল ইসলাম রায়হান জানান, গ্রামের কবিরাজের পরামর্শে পাহাড়ি একটি ফল কৃমিনাশক হিসেবে খায়। এর ফলে তারা একই পরিবারের সাতজনই অসুস্থ হয়ে পড়ে। তবে শিশুদের অবস্থা একটু বেশি খারাপ তাই আমরা প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ৭ জনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করি।
যাযাদি/ এআর