গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর 'আত্মহত্যা' বলে প্রচারণা চালানো স্বামী মোজাম্মেল বেপারীকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার উত্তরগাঁও এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মোজাম্মেল বেপারী উত্তরগাঁও এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে। নিহত আলেয়া আক্তার (১৮) মোজাম্মেল বেপারীর স্ত্রী এবং নরসিংদীর রায়পুরার পলাশতুলী এলাকার তাহের মিয়ার মেয়ে।
পুলিশ ও নিহতের স্বজনরা জানান, আলেয়া আক্তার মূলগাঁও এলাকায় থাকা প্রাণ-আরএফএল কোম্পানিতে চাকরি করতেন। চাকরিরকালে তার সহকর্মী উত্তরগাঁও এলাকার মোজাম্মেলের সঙ্গে পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত চার মাস আগে তাদের দু’জনের বিয়ে হয়। এরপর থেকে আলেয়া আক্তার তার স্বামী মোজাম্মেল বেপারীর সঙ্গে উত্তরগাঁও এলাকার জনৈক মতিউর রহমানের বাড়িতে বসবাস করতেন।
গত মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) রাত আনুমানিক ১০টার পর থেকে মধ্য রাতের কোন এক সময় মোজাম্মেল বেপারী ও তার পিতাসহ পরিবারের ৫ সদস্য মিলে আলেয়াকে মারধরের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে ঘরের ভেতর লাশ ঝুলিয়ে রেখে এলাকায় প্রচারণা চালায় আলেয়া আত্মহত্যা করেছে। এরপর তারা সবাই পালিয়ে যায়। সকালে স্থানীয়রা ঝুলন্ত অবস্থা থেকে নামিয়ে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠায়।
খবর পেয়ে আলেয়ার পিতা উত্তরগাঁও গিয়ে ঘটনা শুনে মোজাম্মেল বেপারীসহ ৫ জনের নামে কালীগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে হত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন {মামলা নাম্বার ৩০(১০)২৪}। পরে বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরগাঁও এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মোজাম্মেল বেপারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আলেয়ার পিতা তাহের মিয়া বলেন, আলেয়াকে দিয়ে তার স্বামী মোজাম্মেল বিভিন্ন অনৈতিক কাজ করানোর চেষ্টা করতেন। এতে আলেয়া রাজি না হওয়ায় তাদের মধ্যে বিভিন্ন সময় ঝগড়া হতো। এর জেরেই আলেয়াকে হত্যার পর তার লাশ ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজিয়েছে।
কালীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ আলাউদ্দিন জানান, মামলা দায়েরের পর বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তরগাঁও এলাকা থেকে মোজাম্মেল বেপারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
যাযাদি/ এস