সারিয়াকান্দি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিস থেকে তথ্য দিতে তালবাহানা

প্রকাশ | ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:১৫ | আপডেট: ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১০:২০

সারিয়াকান্দি (বগুড়া) প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে চলমান প্রকল্পের তথ্য নিয়ে তালবাহানা করার অভিযোগ উঠেছে। এসব প্রকল্পের বিষয়ে জানতে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করা হলেও দপ্তরটির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমলে নিচ্ছেন না। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে গড়িমসি করে দিনের পর দিন ঘুরাচ্ছেন।  

জানা যায়, বগুড়ার সারিয়াকান্দি উপজেলায় কয়েকটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ওয়াশ ব্লক নির্মাণ করা হচ্ছে। সারিয়াকান্দি জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসে আর কি কি প্রকল্প চলমান রয়েছে এসব তথ্য জানতে চান এ প্রতিবেদক। তথ্য নেয়ার জন্য প্রতিবেদককে তথ্য অধিকার আইন অনুযায়ী আবেদন করার পরামর্শ দেন উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল কার্যালয়ের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো.শিপন আলী । 

তার পরামর্শ মতে, গত ২০ (অক্টোবর) উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সহকারী প্রকৌশলী মো.তোফাজ্জল মিয়ার কাছে আবেদন করেন এ প্রতিবেদক। কিন্তু আবেদন দেয়ার পরও তথ্য না দিয়ে বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে কর্তৃপক্ষ।

অথচ, তথ্য অধিকার আইনে-২০০৯ এর বিধিমালা ৯ এর উপধারা (১) এ বলা আছে, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অনুরোধ প্রাপ্তির তারিখ হইতে অনধিক ২০ (বিশ) কার্য দিবসের মধ্যে অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করিবেন৷ 

উপধারা ২ এ বলা আছে, অনুরোধকৃত তথ্যের সহিত একাধিক তথ্য প্রদান ইউনিট বা কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্টতা থাকিলে অনধিক ৩০ (ত্রিশ) কার্য দিবসের মধ্যে উক্ত অনুরোধকৃত তথ্য সরবরাহ করিতে হইবে৷

আর উপধারা ৩ এ আইনটি বলছে, উপ-ধারা (১) ও (২) এ যাহা কিছুই থাকুক না কেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কোন কারণে তথ্য প্রদানে অপারগ হইলে অপারগতার কারণ উল্লেখ করিয়া আবেদন প্রাপ্তির ১০ (দশ) কার্য দিবসের মধ্যে তিনি উহা অনুরোধকারীকে অবহিত করিবেন৷ ( কিন্তু নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে গেলেও এ দপ্তর থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়নি।)

এ বিষয়ে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী প্রকৌশলী মো.তোফাজ্জল হোসেন বলেন,আমিতো অবসরে যাবো আগামী মাসের ১৬ তারিখে। এখানে এসেছি মাএ মাস দেড়েক হলো, আমি এসব তথ্যর কিছুই জানিনা কোথায় কি কাজ হচ্ছে কিসের কাজ হচ্ছে তা আমার সঠিক জানা নাই। অফিসের কাগজপএ সব উপ-সহকারী প্রকৌশলী  সিপন মিয়া একটা ড্রয়ারে তালাবদ্ধ করে রাখছে ওটার চাবি আমার কাছে নাই।এসব বলে সে মৌখিক ভাবে তথ্য দিতে অস্বীকৃতি জানায়।  

উপসহকারী প্রকৌশলী মো.শিপন আলী জানান,আমি যেহেতু এখন দায়িত্বে নাই তাই আপনাকে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করতে বলেছিলাম সহকারী প্রকৌশলী বরাবর। আমি দায়িত্বে থাকলে সব তথ্য আপনাকে অনেক আগেই সরবরাহ করতাম। আমার অফিসের কোন কাজে কোন দুর্নীতি হয়না তাই এসব নিয়ে আমি কোন কিছু ভাবিনা। আপনার যেখানে ইচ্ছে গিয়ে যাচাই বাছাই করতে পারেন।

উপজেলার একটি সরকারি দপ্তরের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, অনিয়ম ও দুর্নীতির তথ্য ফাঁস হওয়ার ভয়ে দপ্তরের প্রধানেরা তথ্য দিতে গড়িমসি করে থাকেন।

সার্বিক বিষয়ে নির্বাহী কর্মকর্তা শাহারিয়ার রহমান বলেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অফিস  যদি আপনাকে কোন তথ্য দিতে অপারগ হয় তাহলে উনার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানান। আর আমি এ বিষয়ে খোজ খবর নিবো।