নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় অটোচালক গোলাম রব্বানী হত্যাকান্ডে ঘটনা সাথে জড়িত থাকার অপরাধে জিয়া রহমান (৪২) ও বুকুল (৪২) নামে দুইজনকে ৩৬ ঘন্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায় জিয়া কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার রায়টুটি ইউনিয়নের কাংলা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে ও ময়মনসিংহের নান্দাইল থানার আচারগাও ইউনিয়নের ঝাউগড়া গ্রামের কালামিয়া ছেলে বুকুল মিয়া (৪২)। বকুল আদালতের সে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে।
সুত্র জানায়, ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের গাবর কালিয়ান গ্রামের হায়েছ উদ্দিন ভূঁইয়ার ছেলে নিহত অটোচালক গোলাম রব্বানী (৪৮) কে গত সোমরার (২৮ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রায়বাজার বাসস্ট্যান্ড থেকে রিজার্ভ ভাড়া করে ফেনারগাতি নিয়ে যায় যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরা ।
ফেনারগাতি মোড় ঘুড়ে ফের রায়বাজার ফেরার পথে বড় কালিনয়ান এলাকায় পৌঁছে অটোচালক গোলাম রব্বানী ওপর হামলা চালায় ওই দুবৃত্তরা। এক পর্যায়ে গোলাম রব্বানীর গলার নিচে শ্বাস নালিতে ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যাকান্ড ঘটিয়ে অটোরিকশাটি ছিনিয়ে নিয়ে যায় তারা। এঘটনায় নিহতের অটোচালক গোলাম রব্বানী ভাগনে হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে কেন্দুয়া থানায় হত্যা মামলায় অজ্ঞাত আসামি করে দায়ের করেছেন।
মামলা তদন্ত কর্মকর্তা এসআই কামাল আহমেদ জানান, ধৃত বকুল মিয়া আদালতে সোপর্দ করা হলে সে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিসহ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে। বকুলের দেয়া তথ্যমতে জিয়াকে অটোরিকশাসহ ইটনা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। দুজনই এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত। জিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭ দিনের জন্য রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করেছে কেন্দুয়া থানা পুলিশ। তার কাছ থেকে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যাবে বলে তিনি ধারণা করেন।
এব্যাপার কেন্দুয়া থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি সাহায্যে প্রথমে বকুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার দেয়া তথ্যমতে অটোরিকশাসহ জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আশাকরি খুব দ্রুতই এই হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত সকলেই গ্রেফতার করতে সক্ষম হব ও মামলার মুল রহস্য উদঘাটিত হবে।
যাযাদি/এসএস