সিন্ডিকেট ভাঙতে ন্যায্য মূল্যে সবজির বাজার চালু করল তাকওয়া ফাউন্ডেশন

প্রকাশ | ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২০

বরুড়া প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

সবজির দাম নিয়ন্ত্রণ ও বাজার কেন্দ্রিক সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্য কমাতে সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তাকওয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ এবার রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে ক্রয়মূল্যে সবজি বিক্রি করা শুরু করেছে। 

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানী ঢাকার মিরপুর ও মোহাম্পদপুর, কক্সবাজার সদর, কুমিল্লার বরুড়া ও লালমাই উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়। 

সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে কম দামে সবজি পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে সম্পূর্ণ অলাভজনক ভিত্তিতে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তাকওয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর চেয়ারম্যান গাজী ইয়াকুব। এমনকি সবজি ক্রয় থেকে শুরু করে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দেয়া পর্যন্ত গাড়ি ভাড়াসহ যাবতীয় খরচ বিক্রয় মূল্যের বাইরে রাখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। 

শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) রাজধানীর দুইটি পয়েন্ট মিরপুর ১ নম্বরের আনসার ক্যাম্প-মধ্য পাইকপাড়া সড়কের প্রবেশমুখ এবং মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ ঘুরে ক্রেতাসাধারণদের মাঝে ব্যাপক সাড়া লক্ষ্য করা গেছে। সকালে সবজি আনার পরে মাত্র ঘণ্টার মধ্যে সব শেষ হয়ে যায়। এতে লাউ প্রতি পিস ২৫ টাকা, প্রতি কেজি করলা ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, লতি ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা ৩৫ টাকা, পটল ৪০ টাকা, পেঁপে ২০ টাকা, বেগুন ৫০, কাঁচা মরিচ ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হয়। 

শনিবার (২৬ অক্টোবর) ঢাকার মিরপুর ১২ নম্বর, মোহাম্মদপুর, কেরাণীগঞ্জ, লালবাগ, ফরিদপুর সদর ও ময়মনসিংহের ভালুকায় একইভাবে বাজার পরিচালনা করা হয় বলে জানিয়েছেন গাজী ইয়াকুব। পর্যায়ক্রমে দেশব্যাপী এর পরিসর বাড়ানো হবে বলেও জানান তিনি। দেশব্যাপী স্বেচ্ছাসেবীদের মাধ্যমে এ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গাজী ইয়াকুব ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনাকালীন সময়ে তাকওয়া ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের মাধ্যমে সারাদেশ ফ্রি লাশ পরিবহন ও দাফন, অক্সিজেন সরবরাহ, খাদ্য সামগ্রী বিতরণ, বিনামূল্যে অ্যাম্বুলেন্স সেবা প্রদানসহ সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে দেশব্যাপী ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। পরবর্তীতে প্রায় প্রতিবছর শৈত্যপ্রবাহ, বন্যা ও ঘূর্ণিঝড়সহ বিভিন্ন সংকট মুহূর্তে অসহায় মানুষের সহয়তায় বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলে সংগঠনটি। এছাড়া সম্প্রতি ফেনী ও কুমিল্লা জেলার বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে ব্যাপক ভিত্তিতে ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যক্রম পরিচালনা করে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। এই বাজারে সংখ্যা ক্রমান্বয়ে  বৃদ্ধি পাবে এবং সারাদেশেই ব্যাপক আকারে করার চিন্তা ভাবনা আমাদের আছে আমরা চেষ্টা করতেছি আমাদের স্বেচ্ছাসেবী ভলান্টিয়াররা প্রত্যেকটা জেলায় উপজেলায় করার জন্য ইচ্ছুক আমরা পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে সিদ্ধান্ত নিব ইন শা আল্লাহ।

যাযাদি/ এসএম