আলমডাঙ্গায় বাবা-ছেলেকে হত্যার ২৫ বছর পর মামলা

প্রকাশ | ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ২১:২৫

স্টাফ রিপোর্টার, চুয়াডাঙ্গা
ছবি : যায়যায়দিন

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার খাসকররা ইউনিয়নের রায়সা গ্রামে ২৫ বছর আগে রহিম বকস ও তার ছেলে শফিউল ইসলামকে প্রকাশ্যে হত্যার ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবীতে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন মামলার বাদী এসএ হৃদয়। 

শনিবার বেলা সাড়ে ১২ টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে এ সাংবাদিক সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। 

সাংবাদিক সম্মেলনে নিহত শফিউল ইসলামের ছেলে এসএ হৃদয় তার লিখিত বক্তব্যে জানান, হত্যাকান্ডের ২৫ বছর পর গত বৃহস্পতিবার (২৪ অক্টোবর) আলমডাঙ্গা উপজেলার আমলী আদালতে দুজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

মামলার বর্ণনা  উল্লেখ করে তিনি জানান, আসামীরা এলাকার চরমপন্থীদলের সদস্য। শফিউল ইসলাম ছিলেন রায়সা জামে মসজিদের ইমাম এবং তার বাবা রহিম বকস প্রামাণিক এলাকার ধনাঢ্য ও সামাজিক ব্যক্তিত্ব ছিলেন। 

এজাহারে দুজনকে আসামী ঘটনার বিষয়ে বলা হয়, কয়েক বছর আগে অর্থাৎ ১৯৯৮ সালে বাবা ও ছেলের কাছে দুই লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন ওই চরমপন্থীদলের সদস্যরা। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আসামীরা ১৯৯৯ সালের ১৬ জানুয়ারী রাতে তারাবির নামাজের ইমামতি করা অবস্থায় প্রকাশ্যে শফিউল ইসলামকে সেখান থেকে টেনে হিঁচড়ে তাদের বাড়ীতে নিয়ে আসে এবং হাত-পা বেঁধে ফেলে। 

এরপর দু আসামী বাড়ীর উঠানেই রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও গলা কেটে শফিউলকে হত্যা করে। ওই সময় শফিউলের বাবা রহিম বকস এগিয়ে এলে তাকেও গলা কেটে হত্যা করা হয়। এরপর সব আসামী অবৈধ বন্দুক দিয়ে ফাঁকা গুলি করতে করতে ঘটনাস্থল থেকে চলে যায়। ২৫ বছর পর মামলা করার প্রসঙ্গে বাদী এস.এ.হৃদয় উল্লেখ করেন, পরিবেশ অনুক‚লে না থাকায় বাদী এবং তার পরিবারের লোকজন এতদিন মামলা করতে সাহস পাননি। 

বর্তমানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আমলে দেশে সেনাবাহিনী নিয়োজিত থাকায় বাদী বিচারের আশায় মামলা করছেন।

সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত বাদীপক্ষের আইনজীবী খন্দকার অহিদুল আলম বলেন, আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লাভলী নাজনীন বাদীর লিখিত অভিযোগ আমলে নেন। অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করে সাক্ষীদের জবানবন্দী লিখিতভাবে রেকর্ড করে আগামী ২৬ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপারকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। 

মামলার আসামী হিসেবে নাম উল্লেখ করা দুজন হলেন আলমডাঙ্গা উপজেলার মধুপুর গ্রামের বাবলুর রহমান ও খেঁজুরতলা গ্রামের মুঞ্জুর আলী। 

যাযাদি/ এম