রোববার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১ কার্তিক ১৪৩১

ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়ক খানাখন্দে ভরা

ভূঞাপুর (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি
  ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৩২
আপডেট  : ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৩৫
ছবি: যায়যায়দিন

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কে অনেকস্থানে ধ্বসে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তা সংস্কারে নিম্নমানের কাজের কারণে বৃষ্টির পানিতে সড়ক ধ্বসে পড়ছে। এতে সড়কটিতে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহান চলাচল করছে ।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ভূঞাপুর-তারাকান্দি আঞ্চলিক মহাসড়কের টেপিবাড়ি, কুঠিবয়ড়া, নলীনসহ কয়েকটি স্থানে বৃষ্টির পানিতে সড়ক ধ্বসে গেছে। ফলে সেখানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। তবে কিছু জায়গাতে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগ গর্তে বালুর বস্তা দিয়ে মেরামত করেছে।

জেলা সড়ক ও জনপদ বিভাগ (সওজ) সূত্রে জানা গেছে, ২৮ কিলোমিটারের ভূঞাপুর-তারাকান্দি মহাসড়ক (জেড ৪৮০১) মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতিকরণের জন্য ২০১৯ সালে ৩০৭ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প গ্রহণ করা হয়।

২০২১ সালে এটির কাজ শেষ করার নির্দেশনা দেয়া হয়। কাজটি পায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান রানা বিল্ডার্স। এরপর কাজটি শেষ করতে না পারায় দুইবার সময় বৃদ্ধি করে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়। কাজের মধ্যে ভূমি অধিগ্রহণ, পেভমেন্ট নির্মাণ, আরসিসি বক্স কালভার্ট নির্মাণ,বাস-বে ও ট্রাক-বে নির্মাণ, সসার ড্রেন নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি কাজ কথা রয়েছে। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সুইচ গেট রক্ষায় কালভার্ট এর ডিজাইন পরিবর্তন ও এক্সেল লোড কন্ট্রোল স্টেশন নির্মাণের স্থান পরিবর্তন ইত্যাদির কারণে প্রকল্পটি সংশোধন করা হয়। এতে প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধি না পেলেও প্রাক্কলিত ব্যয় কমে যায় ৫.৭ কোটি টাকা। এতে প্রকল্পের ব্যয় দাড়ায় ৩০১ কোটি টাকায়।

জানা গেছে, সড়ক ভ‚ঞাপুর-তারাকান্দি মহাসড়ক (জেড৪৮০১) মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতিকরণের কাজ শেষ হাওয়ার আগে থেকেই বৃষ্টির পানিতে বিভিন্ন জায়গায় ধসে পরেছিল। সম্প্রতি নতুন করে আবারও ভারী বৃষ্টির কারণে সড়কটির বিভিন্নস্থানে ধসে পড়ে। সড়ক ধ্বস ও গর্ত সংস্কারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে কয়েকবার চিঠি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পালন করছে না।

কুঠিবয়ড়া গ্রামের মোবারক জানান, পুরো সড়কের সংস্কার কাজ এখনও শেষ হয়নি। নিম্নমানের কাজ করায় বৃষ্টির পানিতে বিভিন্নস্থানে সড়ক ধসে পড়েছে। অনেকস্থানে গর্তে স্থানীয়রা লাল নিশানা টাঙিয়ে দিয়েছিল। কিছু এলাকায় বালুর বস্তা দিয়ে গর্ত পূরণ করা হয়েছে।

পরিবহন চালকরা জানান, সড়কের পাশে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে সেটা রাতে বুঝা যায় না। এতে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হয়। যেকোন সময় গর্তে পরিবহন পড়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটনার সম্ভাবনা রয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, সড়কের কাজ করার সময়ও বৃষ্টিতে ধসে পড়েছে। জোড়াতালি দেয়া হয়েছে। যে মানের সড়ক করা হয়েছে তাতে বেশিদিন স্থায়ী হবে না। প্রভাব খাটিয়ে কাজ করা হয়েছে।

সাব ঠিকাদার হিসেবে কাজ করা ঠিকাদার জনি জানান, বৃষ্টির কারণে এমন হয়েছে। অনেক জায়গাতে গর্ত পুরণ করা হয়েছে। মুল ঠিকাদারকেও সংস্কার করতে চিঠি দেয়া হয়েছে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে কাজ শেষ করা হবে।

জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সিনথিয়া আজমেরির বক্তব্য জানতে বারবার ফোন দেয়া হলেও রিসিভ করেননি।

যাযাদি/এআর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে