৮ দফা দাবিতে রাজপথে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা
প্রকাশ | ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১৯:৪০
৮ দফা দাবি পুরোপুরি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থেকে লড়াই করবেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা। এমন ঘোষণা দিয়েছেন পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃঞ্চ দাশ মহারাজ।
শুক্রবার (২৫ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘি মাঠে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের আয়োজিত গণসমাবেশে তিনি এই ঘোষণা দেন।
পুন্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃঞ্চ দাশ বলেন, যেই মঞ্চ থেকে ৬ দফা দাবি ঘোষিত হয়েছে, সেই লালদিঘীর ময়দানে আজ হিন্দু সনাতনীদের গণজোয়ার এসেছে। আমাদের ৮ দফা দাবি আদায়ের উদ্দেশ্য ইতোমধ্যে ১৯ সদস্যের সমন্বয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃঞ্চ দাশ বলেন, সংখ্যালঘু পরিচয়ে ৯৩ জন হিন্দুকে পুলিশের চাকরি থেকে অব্যহিত দেয়া হয়েছে। ভেটেরিনারি, চবিতে হিন্দুদের শনাক্ত করা হচ্ছে। যারা রাজনীতি করে না, মানবতার কথা বলছে, তাদেরকে মামলার আসামি করা হচ্ছে। সংখ্যানুপাতিক হারে হিন্দুদের সংসদে আসন বিন্যাস করতে হবে। প্রয়োজনে ভোট বর্জন করবো, গণতন্ত্রের নামে প্রহসন চাই না।
দাবিগুলো হলো- সংখ্যালঘু নির্যাতনের বিচারের জন্য দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল গঠন করে দোষীদের দ্রুততম সময়ে উপযুক্ত শান্তি প্রদান , ক্ষতিগ্রস্থদের যথাপোযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। অনতিবিলম্বে সংখ্যালঘু সুরক্ষা আইন প্রনয়ন করতে হবে। সংখ্যালঘু বিষয়ক মন্ত্রণালয় গঠন করতে হবে। হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টকে হিন্দু ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। পাশাপাশি বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টানধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টিকেও ফাউন্ডেশনে উন্নীত করতে হবে। ‘দেবোত্তর সম্পত্তি পুনরুদ্ধার ও সংরক্ষণ আইন প্রণয়ন এবং অর্পিত সম্পত্তি প্রত্যর্পন আইন’ যথাযথ বাস্তবায়ন করতে হবে। প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সংখ্যালঘুদের জন্য উপাসনালয় নির্মাণ এবং প্রতিটি হোস্টেলে প্রার্থনা রুম বরাদ্দ করতে হবে। সংস্কৃত ও পালি শিক্ষা বোর্ড, আধুনিকায়ন করতে হবে এবং শারদীয় দুর্গাপুজায় ৫ দিন ছুটি দিতে হবে।
যাযাদি/ এসএম