চলতি ২০২৪-২০২৫ রবি মৌসুমে ফসলের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে দেশের খাদ্যভাণ্ডার বলে পরিচিত উত্তরের জেলা নওগাঁর ৭৬ হাজার ৬০০ জন কৃষককে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার।
জেলার ১১টি উপজেলার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা পাচ্ছেন বিনামূল্যে সার-বীজ সহায়তা। সরকারের এই উদ্যোগে খুশি তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) কর্মকর্তারা বলছেন, সুুফলভোগী কৃষকের তালিকা চূড়ান্ত করেছে কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি। কোথাও নির্বাচিত কৃষকদের মাঝে প্রণোদনা বিতরণ চলছে। আবার কোথাও কোথাও সকল প্রস্তুতি সম্পূর্ণ হয়েছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কৃষকের হাতে তুলে দিবেন তারা।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা খাত থেকে গম, ভুট্টা, সরিষা, সূর্যমুখী, চিনাবাদাম, শীতকালীন পেঁয়াজ, মুগ, মসুর, খেসারি ডাল ও অড়হড় চাষিদের এ প্রণোদনা দেয়া হচ্ছে। নির্বাচিত একজন কৃষক যে কোনো একটি ফসল চাষের জন্য এই সহায়তা পাবেন। জেলার ১১টি উপজেলার ৭৬ হাজার ৬০০ জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক চাষির জন্য ৩৭৯ দশমিক ৯০ মেট্রিক টন বীজ, ৭৭৭ মেট্রিক টন ডিএপি ও ৭৫৫ দশমিক ৫০ মেট্রিক টন এমওপি সার বরাদ্দ করা হয়েছে।
এতে সরকারের ব্যয় হবে ৬৪৬ দশমিক ৭৮২ লাখ টাকা। প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য প্রয়োজনীয় গম বীজ ২০ কেজি, ভুট্টার বীজ ২ কেজি, সরিষা অথবা সূর্যমুখীর বীজ ১ কেজি, চিনাবাদামের বীজ ১০ কেজি, শীতকালীন পেঁয়াজের বীজ ১ কেজি, মুগ অথবা মসুরের বীজ ৫ কেজি, খেসারির বীজ ৮ কেজি, অড়হড় বীজ ২ কেজি এবং নির্ধারিত পরিমান ডিএপি ও এমওপি সার পাবেন বিনামূল্যে।
গত বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় জেলার মহাদেবপুর উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলার ১০টি ইউনিয়নের ৭ হাজার ৭৩০ জন কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরণেন শুভ উদ্বোধন করেন উপজেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আরিফুজ্জামান।
এ উপলক্ষ্যে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার খুরশিদুল ইসলাম, সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা শিল্পী রায়, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ। নওগাঁ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ আবুল কালাম আজাদ জানান, জেলায় প্রণোদনা বিতরণ চলছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে বিতরণ কার্যক্রম শতভাগ সম্পন্ন হবে। এতে রবি মৌসুমে ফসলের আবাদ ও উৎপাদন ব্যাপক বৃদ্ধি পাবে।
যাযাদি/এআর