বাঁশখালীতে ওয়ালটন প্লাজা চাম্বল শাখার উদ্যোগে ক্রেতা সুরক্ষা প্রদান

প্রকাশ | ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৫৩

বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড ওয়ালটন কোম্পানির নিজস্ব শোরুম ওয়ালটন প্লাজার "কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা" নীতির আওতায় আর্থিক সুবিধা পেলেন বাঁশখালীর কোহিনূর আক্তার।

মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে বাঁশখালী ওয়ালটন প্লাজা চাম্বল শাখা কার্যালয়ে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে গ্রাহক পরিবারের হাতে আর্থিক সুবিধার নগদ টাকা হস্তান্তর করা হয়। 

এ সময় ডিভিশনাল ক্রেডিট ম্যানেজার সুমন বসাক, চট্টগ্রাম পশ্চিম জোনের এরিয়া ম্যানেজার মো. শাহিন, ক্রেডিট ম্যানেজার রেজাউল করিম, ওয়ালটন প্লাজা চাম্বল শাখার ব্যবস্থাপক আনিসুল ইসলাম, মান্নান সেন্টারের মালিক মান্নান তালুকদার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।'

জানা যায়, ‘বাঁশখালীর বাসিন্দা আমির হোসেন ওয়ালটন চাম্বল শাখা থেকে কিস্তিতে ১১ হাজার টাকার একটি পণ্য ক্রয় করে। পরে আমির হোসেনের মৃত্যু হয়। এরপর ওয়ালটন প্লাজা চাম্বল শাখার উদ্যোগে ওয়ালটন প্লাজার "কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা" নীতির আওতায় আমির হোসেনের স্ত্রী কোহিনূর আক্তারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। 

আমির হোসেনের স্ত্রী কোহিনূর আক্তার বলেন, ‘আমার স্বামী ওয়ালটন প্লাজা চাম্বল শাখা থেকে একটি পণ্য কিস্তিতে ক্রয় করে। হটাৎ করে আমার স্বামীর মৃত্যু হলে আমি চিন্তায় পড়ে যায়। আমি গরীব মানুষ, ঘরে ঘরে ছোট ছোট বাচ্চা, কিভাবে কিস্তির টাকা শোধ করবো। একদিন হটাৎ চাম্বল শাখার ম্যানেজার আমাকে বললেন আপনার টাকা শোধ করতে হবে না। উল্টো আমরা আপনাকে সহযোগিতা করবো। আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা। এটা কল্পনার বাহিরে ছিলে। তাদের এই ঋণ আমি কখনো শোধ করতে পারবো না।'

ওয়ালটন প্লাজা চাম্বল শাখার ব্যবস্থাপক আনিসুল ইসলাম বলেন, ‘আমির হোসেন ওয়ালটন চাম্বল শাখা থেকে কিস্তিতে ১১ হাজার টাকার পণ্য ক্রয় করে। পরে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর আর্থিক অবস্থা চিন্তা করে ওয়ালটন চাম্বল শাখার উদ্যোগে ওয়ালটন প্লাজার "কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা" নীতির আওতায় তাঁর স্ত্রী কোহিনূর আক্তারকে নগদ ৫০ হাজার টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়। দেশীয় প্রতিষ্ঠান ওয়ালটনের এমন উদ্যোগের জন্য ওয়ালটন বাংলাদেশের মানুষের কাছে একটি বিশ্বস্ততার প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। কিস্তি ক্রেতা সুরক্ষা নীতির আওতায় ওয়ালটন যে আর্থিক সুবিধা প্রদান করেছে এটা শুধু বাংলাদেশ না এটা পুরো বিশ্বব্যাপী একটি ব্যতিক্রমী উদ্যোগ।'

যাযাদি/ এম