কুষ্টিয়ায় পদ্মায় ভয়াবহ ভাঙন দেখা দিয়েছে। জেলার মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া মির্জানগর এলাকায় পদ্মার পানি কমতে থাকার সাথে সাথে তীব্র হচ্ছে ভাঙনও।

এরইমধ্যে পদ্মা নদীতে দুটি জাতীয় গ্রিডের বৈদ্যুতিক টাওয়ার, শতশত হেক্টর ফসলি জমি, গোরস্থানসহ অনেক স্থাপনা নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চরম হুমকীর মুখে পড়েছে বসতবাড়ি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়ক। ভাঙন আতংকে দিন কাটছে নদী তীরবর্তী মানুষের। অনেকেই নদীগর্ভে বিলীনের আশঙ্কায় বসতবাড়ী ভেঙে অন্যত্রে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। দীর্ঘদিন ধরে এসব এলাকায় বসবাস করা মানুষ ফসলি জমি ও বসতভিটা হারিয়ে চরম মানবেতর জীবন যাপন করছেন। ভাঙনরোধে অতিদ্রুত ব্যবস্থা গ্রহনের পাশাপশি সরকারী সহযোগীতা কামনা করেন তারা।

এদিকে ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পশ্চিম অঞ্চল) শাজাহান সিরাজ বলেন, আমরা নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে ভাঙন প্রতিরোধে সর্বাত্বক চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ প্রকল্পের ঠিকাদার নিয়োগ হয়ে গেছে। নদীতে প্রবল স্রোতের কারণে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। অতি দ্রুতই ভাঙন রোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি। এসময় কুষ্টিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক আব্দুল হামিদ, নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান, নদী ভাঙন প্রতিরোধ কমিটির আহবায়ক মেহেদি হাসান অপুসহ ভুক্তভোগীরা উপস্থিত ছিলেন।

যাযাদি/ এসএম

বিরামপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে চলছে আনসার ও ভিডিপি স্কুল