বিশ্বনাথে সেতুর মুখে বড় গর্ত, ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন

প্রকাশ | ২১ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩৭

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

গত দুই সপ্তাহ থেকে সিলেটের বিশ্বনাথে সড়কে সেতুর মুখে বড় গর্ত থাকায় ঝুঁকি নিয়ে যানচলাচল করছে। যেন দেখার কেউ নেই! জনগুরুত্বপূর্ণ এ সড়ক দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার হাজার হাজার মানুষ প্রতিদিন চলাচল করে থাকেন। কিন্তু এই গর্তের মধ্যে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরণের দুর্ঘটনা। 

সোমবার বিকেলে এমনই দৃশ্য দেখা যায় উপজেলার বিশ্বনাথ-লামাকাজী ব্যস্ততম সড়কে নকিখালী সেতুর মুখে। 

এসড়ক দিয়ে বিশ্বনাথ-রামপাশা-বৈরাগীবাজার-সিংগেরকাছ-লামাটুকেরবাজার-লামাকাজী সড়কের বিভিন্ন এলাকার জনসাধারণ যাতায়াত করে থাকেন। এরাস্তার পার্শ্বে রয়েছে একমাত্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। হাসপাতালে প্রতিদিনই বিভিন্ন মুমূর্ষ রোগী যাতায়াত করেন। 

এমনকি রাতে সুনামগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী বাস ছোট এ সড়ক দিয়ে চলাচল করে।  

সরেজমিন দেখা যায়, ওই সড়কের পার্শ্বে দুদিকে বড় বড় খাল রয়েছে। বন্যা ও বৃষ্টিজনিত কারণে সড়কের মাটি সরে গিয়ে সেতুর নিম্নাঞ্চলে ফাটল ধরায় সেতুর মুখে বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। যার কারণে যানচলাচলে বড় ধরণের দুর্ঘটনা হওয়ার সম্ভবনা বেশি রয়েছে। 

গত দুই সপ্তাহ যাবত অবহেলিত থাকা সেতুর মুখের গর্তে বাশের খুটি খাড়া করে এলাকাবাসীর পক্ষে সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে। ইতিমধ্যে সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুকেও এনিয়ে চলছে লেখালেখি। কিন্তু এভাবে চলবে কতদিন?

এলাকাবাসীর দাবী, বিশ্বনাথে আমাদের কোন এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র না থাকায় কারো কাছে বলার জায়গা পাচ্ছেন না। যেন দেখার কেই নেই। বর্তমান অন্তবর্তী সরকারের মাধ্যমে যাতে এই সেতুর কাজ দ্রুততম সময়ের মধ্যে শেষ করা হয়। তাতে পথচারী এবং যানবাহনে যাত্রীসাধারণ দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পাবেন।

বাস চালক আব্দুর রহমান বলেন, প্রতিদিন এই সেতুতে ঝুঁকি নিয়ে গাড়ী চালাতে হয়। একদিক থেকে গাড়ী নিয়ে আসলে অপর প্রান্তের গাড়ী পারাপারে অনেক সমস্যার সৃষ্টি হয়। রাতের বেলা এ সেতু পারাপারে খুবই ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়ে।

এব্যপারে জানতে চাইলে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলী (সওজ) আমির হোসেন যায়যায়দিন’কে বলেন, আমি শুনেছি। গত বন্যায় এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পানি নামার সাথে সাথে সেতুর মুখ ধেবে গেছে। তবে খুব শীঘ্রই সংস্কার করা হবে বলে তিনি জানান।

যাযাদি/ এম