রাজস্থলীতে হাজারো বাতি উত্তোলনের মধ্য দিয়ে বৌদ্ধ  ধর্মাবলম্বীদের শুভ প্রবারণা পূর্ণিমা উদযাপিত

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২০:২০

রাজস্থলী প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

বৌদ্ধধর্মাবলম্বীদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব প্রবারণা পূর্ণিমা নানা ধর্মীয় আচারে মাধ্যমে উদযাপন করা হয়েছে রাজস্থলীতে । বৌদ্ধ ভিক্ষুরা তিন মাসব্যাপী নির্জন আশ্রমে বাস শেষে প্রবারণা পূর্ণিমার মাধ্যমে লোকারণ্যে ফিরে আসে। একে আশ্বিনী পূর্ণিমাও বলা হয়।

বৃহস্পতিবার সকালে রাঙ্গামাটি রাজস্থলী উপজেলার রাজস্থলী কেন্দ্রীয় মৈত্রী বৌদ্ধ  বিহারে প্রবারণা পূর্ণিমা উপলক্ষে সকাল থেকেই পঞ্চশীল গ্রহণ, প্রার্থনা, বুদ্ধ সংগীত, মোমবাতি ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের করেছে। এরপর অষ্টপরিষ্কার দান, অষ্টশীল গ্রহণ, বুদ্ধ পূজা প্রভৃতি আচার শেষে দেব-মানবের তথা সকল প্রাণীর হিতার্থে ধর্মদেশনা দেওয়া হয়।

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের মতে ভিক্ষুরা আষাঢ়ী পূর্ণিমা হতে আশ্বিনী পূর্ণিমা পর্যন্ত, এই তিন মাস বর্ষাব্রত পালন করেন। আর এই বর্ষাব্রত পালন শেষে আশ্বিনী পূর্ণিমা তিথিতে তারা প্রবারণা করেন। স্বাভাবিক সসময়ে প্রবারণা পূর্ণিমার পর দিন হতে পরবর্তি এক মাস বিহারে বিহারে অনুষ্ঠিত হয কঠিন চীবর দান। তবে পার্বত্য চট্টগ্রামের সাম্প্রদায়িক ঘটনা প্রেক্ষাপটে এবার হচ্ছে না কঠিন চীবন দান অনুষ্ঠান। তবে পুণ্যার্থীদের আশা আগামী বছর সরকার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি করবে এবং সকল ধর্মীয় অনুষ্ঠান নিরাপদ করার আশার কথা ব্যক্ত করেন।

পূণ্যার্থী বীর নাথ তনচংগ্যা  বলেন, বৌদ্ধ ভিক্ষুরা এই তিন মাস বর্ষাব্রত পালন শেষে প্রবারণা পূর্ণিমার মাধ্যমে লোকারণ্যে ফিরে আসে। একে আশ্বিনী পূর্ণিমাও বলা হয়। এই দিন অতীতের ভুল ভ্রান্তির জন্য একে অপরের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। 

এমন পূণ্যময় অনুষ্ঠানে ভক্তকূলের প্রাথর্না সকল সম্প্রদায়ের মৈত্রীময় সহবস্থানেরর পাশাপাশি দেশ ও জাতির শান্তি মঙ্গল কামনা।ধর্মীয় দেশনা দেন বিহারের প্রধান শ্রীমৎ ধর্মানন্দ মহাথেরো,  অনুষ্ঠানে শতশত ধর্মপ্রাণ নর-নারী উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ধ্যায় হাজারো বাতি উত্তোলনের মধ্য দিয়ে দিনটির পরিসমাপ্তি হয়।

যাযাদি/ এম