পটুয়াখালীতে ৫০ হাজার মিটার ইলিশের জাল জব্দ

প্রকাশ | ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২০:০৭

পটুয়াখালী প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

পটুয়াখালীর পায়রা নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে যৌথ অভিযান চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মিটার ইলিশের জাল জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ১৭ সেপ্টেম্বর বিকেলে সদর, মির্জাগঞ্জ ও দুমকি উপজেলা মৎস্য অফিস,পটুয়াখালী কোষ্টগার্ড এবং মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশের যৌথ অভিজানে পায়রা নদীর বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে এই জাল গুলো জব্দ করা হয়েছে। এসময় নদীতে জাল রেখে পালিয়ে যায় অসাধু মাছ শিকারীরা। উদ্ধার করা জাল পায়রা নদীর পাড়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

পটুয়াখালী সদর উপজেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, পটুয়াখালীর পায়রা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য কার্যালয়। ২২ দিনের  নিষেধ থাকা সত্ত্বেও পায়রা নদীতে ইলিশ ধরা হচ্ছে বলে অভিযোগ ছিলো। অভিযোগের ভিত্তিতে সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান এর নেতৃত্বে পটুয়াখালী ও মির্জাগঞ্জের বিভিন্ন স্থান থেকে জাল গুলো জব্দ করা হয়েছে। এসময় মির্জাগঞ্জ উপজেলার কাটাখালী স্থানে কোস্ট গার্ডের সদস্যদের উপর ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেন স্থানীয় জেলেরা।

এবিষয়ে কোস্ট গার্ডের এক কন্টিজেন কমান্ডার নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, সাগর ও নদীতে মাছ ধরায় ২২ দিনে নিষেধাজ্ঞা থাকার কারনে আমরা পায়রা নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছিলাম। এসময় কাটাখালী পয়েন্টে গেলে স্থানীয় জেলেড়া তীরে বসে ইট পাটকেল ছুড়তে থাকে। জাল তোলার উদ্দেশ্যে কাছাকাছি গেলে লাঠিসোঁটা নিয়ে আমাদের দিকে তেরে আসে। তারা আমাদের দুইজন সৈনিক কে টার্গেট করে। তখন তাদেরকে বাচাতে প্রায় ফায়ার করার মতো অবস্থা তৈরি হয়।  

সদর উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মুহাম্মাদ মাহফুজুর রহমান বলেন, ভরা পূর্নিমার কারনে সাগর থেকে প্রচুর পরিমান ইলিশ মাইগ্রেশানের জন্য নদীতে প্রবেশ করেছে। এই সুযোগে কিছু অসাধু জেলে নদীতে তে জাল ফেলেছিল।

আমদের উপস্থিত টের পেয়ে জেলারা পালিয়ে যায়। তবে নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে আমরা প্রায় ৫০ হাজার মিটার জাল জব্দ করতে সক্ষম হয়েছি। জালগুলো পায়রাকুঞ্জ ফেরিঘাট এলাকায় পুরিয়ে ফেলা হয়েছে। নিষেধাজ্ঞা শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এই অভিজান অব্যাহত থাকবে।

 


যাযাদি/এসএস