বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১

ভাঙ্গুড়ায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়ক ২ মাসেই বেহাল অবস্থা

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৪৭
আপডেট  : ১৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৫১
ছবি: যায়যায়দিন

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত প্রায় সাড়ে ৩ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যের পাকা সড়কটি নির্মাণের ২ মাসের মধ্যেই বিভিন্ন স্থানে ভেঙে বসে গিয়ে যানবাহন ও পথচারী চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

সড়কটির এজিং (রাস্তার দুই পাশের ইটের খাড়া মেম্বারদ্বয়) ভেঙে হুমকির সম্মুখীন হয়ে পড়েছে প্রায় সাড়ে ৩ কিঃমিঃ দৈর্ঘ্যের পাকা সড়কটি। এতে দিন দিন বিনষ্ট হচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রায় ২ কোটি টাকার সম্পদ।

উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউপি'র পাটুলীপাড়া-কাশিপুর গ্রাম অভিমুখি প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের সড়কটি নিম্নমানের ইট ও খোয়া দিয়ে নির্মাণ এবং সড়কটির সুরক্ষার জন্য পার্শ্বদিয়ে মাটি ভরাট কাজ বাদ দেওয়ার অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকা সহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল এ সংবাদ প্রকাশের পর এল জিইডি'র পাবনার নির্বাহী প্রকৌশলী সড়কটি সরজমিন পরিদর্শন করলেও সম্পন্ন কাজের গুণগত মান ও ফেলে যাওয়া কাজ সম্পন্ন হয়নি বলে এলাকাবাসী জানান।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়কের উভয় পার্শ্বে মাটি না থাকায় একাধিক যায়গায় এজিং (রাস্তার দুই পাশের ইটের খাড়া মেম্বারদ্বয়) ধসে পরেছে। অনেক জায়গায় সড়কের একপাশ বসে গিয়ে সড়ক ভেঙে যাচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশল অফিস থেকে সড়কের ভাঙা স্থান গুলোতে জোড়া তালি দিয়ে মেরামত করে দিয়েছে। আবার কিছু কিছু স্থানে এজিং ধসে পড়ায় বস্তায় বালি ভরে সেই বস্তা দিয়ে এজিং-এর কাজ চলাচ্ছে। সড়কের পার্শ্বের মাটি সুরক্ষা জন্য যে গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হয়ে ছিল সেটিও নির্মাণের কিছু দিনের মধ্যে ভেঙে পড়েছে।

ফলে সরকারের প্রায় দুই কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সড়কটি দুই মাসের মধ্যই ভাঙনের কবলে পরেছে। খুব দ্রুত এ সড়কের সুরক্ষা ব্যবস্থা না নিলে ৬ মাসের মধ্যই সড়কে যান চলাচলে অযোগ্য হয়ে পরতে পারে। এলাকাবাসী সংশ্লিষ্ট বিভাগের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

পাটুলীপাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান সরকার বলেন, সড়ক নির্মাণে এক মাস না যেতেই সড়কটি নষ্ট হয়ে গেল বিষয়টি খুবই দুঃখ জনক। তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন, উপজেলা প্রকৌশল অফিসকে ম্যানেজ করে নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী দিয়ে কাজ করেছে ঠিকাদার।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রকৌশলী মোছাঃ আফরোজা আক্তার বলেন, অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে, সেখানে মেরামত করা হয়েছে। এক বছরের মধ্যে রাস্তা ভেঙে গেলে ঠিকাদার তার নিজ অর্থায়নে মেরামত করে দিবে।এর বিকল্প কিছু ঘটলে নির্মাণ ঠিকাদারের জামানত অর্থ বাজোয়াপ্ত হয়ে যাবে।

এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া উপজেলা প্রশাসক ও নির্বাহী কর্মকর্তা মোছা: নাজমুন নাহার(ইউএনও)বলেন, সরজমিন সড়কটি দেখে এর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

যাযাদি/এআর

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে