শ্রীমঙ্গলে টমটম চালক হত্যা মামলার প্রধান আসামী গ্রেফতার
প্রকাশ | ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০:২৬
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে পুলিশের বিশেষ অভিযানে ২৪ ঘন্টার মধ্যে চাঞ্চল্যকর টমটম চালক আবুল খায়ের হত্যা মামলায় জড়িত প্রধান আসামী রুবেল আহমেদ সাগর ওরফে জসিমকে (৩০) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার বিকেলে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে মৌলভীবাজার জেলার পুলিশ সুপার এম, কে, এইচ জাহাঙ্গীর হোসেন এর সার্বিক দিক নির্দেশনায় ও সহকারী পুলিশ সুপার, শ্রীমঙ্গল সার্কেল আনিসুর রহমানের তদারকীতে এবং অফিসার ইনচার্জ মোঃ আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে ১৫ অক্টোবর বিকাল সাড়ে ৪ টার সময় তদন্ত কর্মকর্তা এসআই তৌকির আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্সসহ আসামী রুবেল আহমেদ সাগর ওরফে জসিমকে গ্রেফতার করে।
গ্রেফতারের পর আসামী জসিমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানায় যে, সে সহ তার সঙ্গীয় আরও ৩/৪ জন আসামী মিলে গত ১৫অক্টোবর রাত আনুমানিক ৯ টার সময় আবুল খায়েরকে অটোরিক্সাসহ কালিঘাট চা বাগানে নিয়ে যায় এবং মিনি টমটম (মিশুক) নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করিলে খায়ের তাদেরকে বাঁধা দিলে সকল আসামীগণ ধারালো চাকু দিয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করতে থাকে।
আসামীদের ধারালো চাকুর আঘাতে একপর্যায়ে রক্তক্ষরন হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যু নিশ্চিত করে আসামীগন অটোরিক্সা নিয়ে পালিয়ে যায়।
আসামীগন মৃত খায়ের এর পরিচিত হওয়ায় এবং অটোরিক্সা ছিনতাই করার সময় খায়ের আসামীদের চিনতে পারায় তারা তাকে হত্যা করে। আসামীকে সাথে নিয়ে ১৬ অক্টোবর ভোর রাত ৪টার দিকে আসামীর বসত ঘরে অভিযান করে আসামীর সনাক্ত মতে ঘটনার সময় আসামীর পড়নে থাকা একটি ধূসর রংয়ের কাপড়ের ফরমাল প্যান্ট, যাহার সামনের ডান অংশে রক্তের দাগ আছে, একটি বেগুনী রংয়ের গোলগলা গেঞ্জি, যাহার কলারের পিছনের অংশ ছেড়া উদ্ধার করে জব্দ করা হয়।
শ্রীমঙ্গল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোবারক হোসেন খান যায়যায়দিনকে জানান, গ্রেফতার হওয়া মামলার প্রধান আসামীকে আজ বুধবার দুপুর ২টায় মৌলভীবাজার কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে। হত্যা মামলার ঘটনায় জড়িত অপর আসামিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার সকালে উপজেলার কালীঘাট চা বাগান থেকে আবুল খায়ের (৩০) নামে এক যুবকের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত আবুল খায়ের উপজেলার মুসলিমবাগ এলাকার আনসার আলীর ছেলে। সে পেশায় একজন টমটম চালক। তার গলায় দাড়ালো ছুরির দাগ ছিল।
বুধবার সকালে চা বাগানের শ্রমিকরা কালীঘাট চা বাগানের একটি সেকশনে কাজ করতে গেলে রক্তাক্ত অবস্থায় একজনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। এরপর চা বাগানের লোকজন বিষয়টি পুলিশকে অবগত করে। মরদেহের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়।
অপরদিকে একই দিন দুপুরে উপজেলার ডলুছড়া পাহাড়ী এলাকা থেকে ৩৫ বছর বয়সী অজ্ঞাত নামা এক নারীর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার পরিচয় এখনও সনাক্ত করা যায়নি। নারীর লাশটি থেকে দুগন্ধ ছড়াচ্ছে ধারণা করা হচ্ছে এটি দু, তিনদিন আগে হত্যা করে এখানে ফেলে রাখা হয়েছে। মুখের চেহারা বুঝা যাচ্ছে না। পুলিশ দুটি লাশই উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
যাযাদি/ এম