বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ১ কার্তিক ১৪৩১

মন্ত্রণালয়ে ১০ বার চিঠি দিয়েও ঠিক হয়নি তাজউদ্দীনের সিটি স্ক্যান মেশিন

গাজীপুর প্রতিনিধি
  ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ২০:১৭
ছবি: যায়যায়দিন

গাজীপুরের শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজে থাকা একমাত্র সিটি স্ক্যান মেশিনটি এক বছর ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। এসময়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে ১০টি চিঠি পাঠিয়েও ঠিক হয়নি সিটিস্ক্যান মেশিনটি। এতে ভোগান্তিতে পড়েছে রোগীরা।

গাজীপুর মহানগরের উত্তর রাজবাড়ি এলাকার বাসিন্দা ইমন জানান, তার বাবা সৈয়দ মনিরুজ্জামান স্ট্রোক করলে মঙ্গলবার বিকেলে ওই হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করান। এসময় ওই ওয়ার্ডে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার বিভিন্ন পরীক্ষার সঙ্গে সিটি স্ক্যান করারও পরামর্শ দেন। পরে হাসপাতালের রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগে থাকা সিটি স্ক্যান করতে যান। তখন তিনি জানতে পারেন মেশিনটি নষ্ট। পরে বাধ্য হয়ে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া করে প্যারালাইজড বাবাকে নিয়ে বাইরের একটি ক্লিনিকে যেতে হয়েছে।

এতে একদিকে যেমন তাকে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে, অপরদিকে অধিক মূল্যও গুনতে হয়েছে তাকে। শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ হাসপাতালে ব্রেইনের জন্য দুই হাজার টাকা, চেস্ট’র জন্য আড়াই হাজার টাকা এবং অ্যাবডোমেনের সিটি স্ক্যান করতে খরচ পড়ে প্রায় চার হাজার টাকা। আর বাইরে থেকে এসব পরীক্ষা করতে রোগীকে প্রায় দ্বিগুণ টাকা গুনতে হচ্ছে।

হাসপাতালের মেডিকেল টেকনোলজিস্ট মো. মোফজ্জল হোসেন জানান, গত বছরের ২৮ আগস্ট থেকে নষ্ট হয়ে যায় এ বিভাগের সিটিস্ক্যান মেশিনটি। প্রতিদিন এ হাসপটাতালে ২৫ থেকে ৩০জন রোগী আসেন সিটি স্ক্যানের জন্য। কিন্তু মেশিনটি নষ্ট থাকাতে আমরা কোন রোগীর সিটি স্ক্যান করতে পারছি না। এ মেশিনটি সারাই করার জন্য সাবেক মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীর সুপারিশসহ ১০টি চিঠি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু অধ্যবদি তা মেরামত হয়নি। তিনি জানতে পেরেছেন মেশিনটির তিন বছরের ওয়ারেন্টি ছিল। এ ওয়ারেন্টি শেষ হওয়ার পর এটা নিয়ে মন্ত্রণালয় ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মেনটেইনেন্স কারার চুক্তি হয়। এতে মেনটেইনেন্স মূল্য নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের মতোবিরোধ দেখা দেয়। এ হাসপাতালের মতো সারা দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে মেশিন মেনটেইনেন্স খরচ নিয়ে মতোবিরোধ সৃষ্টি হওয়ায় অকেজো মেশিনগুলো সচল হচ্ছে না।

শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম জানান, মেইনটেইনেন্স করা নিয়ে মন্ত্রণালয় ও সরবরাহকারীর মধ্যে শর্তের মতবিরোধ থাকায় ওই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে