সাঁকো বানিয়ে চাঁদা আদায়ের অভিযোগ কোন পদক্ষেপ নেয়নি ইউএনও

প্রকাশ | ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:০৭

তারাকান্দা (ময়মনসিংহ)প্রতিনিধি
ছবি যাযাদি

ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলায় সাঁকো বানিয়ে চাঁদা আদায়ের বিষয়টি অবগত করলে কোন পদক্ষেপ নেয়নি ইউএনও।

অভিযোগ রয়েছে, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজনীন সুলতানা যোগদানের পর থেকে প্রত্যেকটি দপ্তরে হযবরল অবস্থা। বারইপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন আটকে দিয়েছেন নিজ ক্ষমতা বলে।

এ বিষয়ে বারুইপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রফিক মাস্টার জানান, আটজন শিক্ষক কর্মচারী গত দুই মাস ধরে বেতন আটকে দিয়েছেন।  উনার বদলিসহ বিষয়টি প্রশাসনের কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ কামনা করেন।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি চেয়ারম্যানের অনাস্থা সহ নানান অভিযোগ দায়ের করলে কোন বিষয়ে সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে ইতস্তত বোধ করেন। ইউপি সদস্য আমিনুল জানান, ইউএনও দপ্তরে  অভিযোগ করে কোন কাজ হচ্ছে না। আর এই কারনে ঝুলে আছে একাধিক অভিযোগ।

ফলে প্রশাসনিক অবকাঠামো  ভেঙে পড়েছে, এছাড়াও ঢাকুয়া ইউনিয়নে খাদ্য বন্ধন কর্মসূচি চাল বিতরণের কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজনীন সুলতানা। এই নিয়ে ভুক্তভোগীদের মাঝে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। জনগণের আস্থার জায়গা হারিয়ে যে যার মত আইন নিজেরাই সঙ্গবদ্ধ হয়ে প্রয়োগ করছে।
 
উল্লেখ্য বিষয়, শ্যামগঞ্জ সড়কের মানিকদীর দিয়ে বয়ে যাওয়া রাংসা নদীর উপর ব্রিজ নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। সেতু নির্মাণের জন্য ৪ কোটি ৫৯ লাখ ৮৫ হাজার ৪শত ৯ টাকা টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। দরপত্রের মাধ্যমে কাজটি পায় মেসার্স এসআরএস কনস্ট্রাকশন।

গত (৩ অক্টোবর) থেকে বৃষ্টি ও ভারি বর্ষণের ফলে বাইপাস সড়কটি ভেঙ্গে যায়। এতে সড়কটি সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। আর ওই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালী লোকজন একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে পারাপার হওয়া লোকজনের নিকট থেকে ১০ টাকা ও মোটরসাইকেল পারাপারে ১০০/ ১৫০ টাকা করে আদায় করার গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। এ যেন প্রশাসনের কাছ থেকে ইজারা নিয়েছে প্রভাবশালীরা সাঁকো বানিয়ে টাকা উত্তোলন, প্রশাসন নির্বিকার।

বিষয়টি নিয়ে স্থানীয়ভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের অবগত করলেও কোন পদক্ষেপ নিতে পারেনি।

ওই সড়ক দিয়ে শত শত যানবাহন ও হাজার হাজার মানুষ ও স্কুল শিক্ষার্থীরা যাতায়াত করেন। সড়ক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই সব মানুষ পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। এই ভোগান্তির জন্য এলাকাবাসী  নির্মাণকাজের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ী করছেন।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজনীন সুলতানা জানান, চাঁদা উত্তোলনের বিষয়টি আমার জানা নেই, তবে খোঁজ খবর নিবো।

উল্লেখিত বিষয় নিয়ে সচেতনমহল ও আপামর জনসাধারণ জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।

যাযাদি/এসএস