সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১

বিশ্বনাথে বিরোধ মিশাংশায় গিয়ে মামলায় আসামী হলেন বিএনপির সভাপতি-সম্পাদক

বিশ্বনাথ (সিলেট) প্রতিনিধি
  ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৬:১২
ছবি : যায়যায়দিন

সিলেটের বিশ্বনাথে উপজেলার লামাকাজি ইউনিয়নের মাহতাবপুর মৎস্য আড়তের জটিলতা নিরসন করতে গিয়ে টাকা আত্মসাতের মামলার আসামী হলেন উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলী ও সাধারণ সম্পাদক লিলু মিয়া।

এরই প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে পৌরশহরের শহরের একটি রেস্টুরেন্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছে উপজেলা বিএনপি ও পৌরসভা।

উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক লিলু মিয়া লিখিত বক্তব্যকালে সাংবাদিকদের বলেন, মৎস্য আড়তের জটিলতা নিরসন করতে চারটি বৈঠত অনুষ্ঠিত হয়।

কিন্তু শেষ বৈঠকে হেলাল উদ্দিন পক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় একটি রায় হয়। কিন্তু হেলাল উদ্দিন পক্ষ রায়ের বিরুদ্ধে কোন অনাপত্তি না দিয়েই গত ৮/১০/২০২৪ ইং তারিখে আদালতে উপজেলা বিএনপির সভাপতি গৌছ আলী ও সাধারণ সম্পাদক মো. লিলু মিয়াকে অভিযুক্ত করে ও ৬/৭জনকে অজ্ঞাত করে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন।

পাশাপাশি বিভিন্ন ফেসবুক লাইভেও অপপ্রচার চালাচ্ছেন তারা। এতে হেলাল উদ্দিন উপজেলা বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন ও সালিশ ব্যবস্থাকেও হেয় করছেন। বিচার সালিশে গিয়ে এভাবে যদি সালিশ ব্যক্তিদের মামলায় অভিযুক্ত হতে হয়, তাহলে দেশে সালিশে কেউ আর যাবে কি না এমন প্রশ্নও সাংবাদিকদের কাছে তুলে ধরেন।

লিলু মিয়া আরো জানান, সালিশ কার্যক্রম শুরুতে সর্বসম্মতিক্রমে উপজেলা বিএনপির সভাপতি গৌছ আলীকে সালিশ মিমাংশার জন্য সভাপতি মনোনীত করা হয়। এতে হেলাল মিয়া ও বশির উদ্দিন উভয় পক্ষের সম্মতি জানান। সালিশে দুইপক্ষের সরকারি আদেশ, দলিলাদি ও মামলাগুলোর কাগজপত্রসহ সকল ডকুমেন্ট জমা নেয়া হয়।

উভয় পক্ষের উপস্থিতিতে একে একে তিনটি সালিশ বৈঠকে তাদের জবানবন্দিসহ সকল কাগজাত পর্যালোচনা করা হয়। গত ২১ সেপ্টেম্বর শেষ চতুর্থ বৈঠকে অজ্ঞাত কারণে হেলাল মিয়া পক্ষ উপস্থিত না হওয়ায় এলাকার গন্যমান্য মুরব্বিয়ান, ব্যবসায়ী, সালিশ ব্যক্তিত্বসহ প্রায় কয়েক শতাধিক মানুষজনের উপস্থিতিতে পুনরায় সকল কাগজাত পর্যালোচনা করা হয়।

গত ২৫ আগস্টের ঘটনায় মো. হেরা উদ্দিন দুষি প্রমানিত হলে জমাকৃত টাকা বাজেয়াপ্ত করার সিদ্ধান্ত নেন। আর বাজেয়াপ্তকৃত টাকা সাবেক এমপি এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মনী তাহসিনা রুশদীর লুনার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্থদেরকে দেওয়া হবে। পাশাপাশি মো. ফখর উদ্দিন, আবদুল হেকিম ও আব্দুস সালাম ঐ তিনজন বাজার পরিচালনা করবেন।

সর্বসম্মতিক্রমে জব্দকৃত টাকা দাবি বর্তমান এডহক কমিটি সভাপতির কাছে ফয়জুল হক এবং বরফ গাইল সভাপতি গৌছ আলীর নির্দেশক্রমে হস্তান্তর করবেন।

এছাড়াও বক্তারা বলেন, হেলাল মিয়ার এহেন আচরণে বিশ্বনাথ তথা সর্বস্তরের বিচার সালিশ ব্যক্তিত্বকে হয়রানি করছে। যার কারণে বিএনপির দলীয়ভাবে মান অক্ষুন্ন হয়েছে। হেলাল উদ্দিন তার ভুল স্বীকার করে বিশ্বনাথবাসীর কাছে ক্ষমা চাইতে হবে এবং হেলাল মিয়াকে দল থেকে বহিষ্কার করা দাবী জানান তারা।

উপজেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গৌছ আলীর সভাপতিত্বে আরোও বক্তব্য রাখেন, লামকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ফয়জুল হক, লামাকাজী ইউনিয়নের বিএনপি নেতা ও মাহতাবপুর বাজারের ব্যবসায়ী আঙ্গুর মিয়া।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সম্পাদক মোনায়েম খান, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল মুমিন মামুন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার গিয়াস উদ্দিন, ক্রীড়া সম্পাদক এমাদ উদ্দিন খান চেয়ারম্যান, ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান লিটন, উপজেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, জেলা বিএনপি নেতা খসরুজ্জামান খসরু, লামাকাজী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হাজী শফিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল হক, বিএনপি নেতা আশিক মিয়া জীবন, আব্দুস ছাত্তার, আশিকুর রহমান রানা, আব্দুল হান্নান বাবুল, দুলাল আহমদ প্রমুখ।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে