সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ৩০ আশ্বিন ১৪৩১

ভাঙ্গুড়ায় প্রতিমা বিসর্জনে প্রশাসনের সঙ্গে আ.লীগ নেতা, সমালোচনার ঝড়

ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি
  ১৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:২৬
ছবি: যায়যায়দিন

পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রশাসনের আয়োজনে প্রতিমা বিসার্জন অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের এক প্রভাবশালী নেতা বাকি বিল্লাহ’র সঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. নাজমুন নাহার (ইউএনও) এবং ভাঙ্গুড়া পৌরসভার প্রশাসক ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) তাসমীয়া আক্তার রোজীর চা পানের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে ঝড় উঠেছে।

আলহাজ্ব মো. বাকি বিল্লাহ ভাঙ্গুড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য। এছাড়া তিনি ভাঙ্গুড়া পৌরসভার একাধিক বার আঃলীগ মনোনীত নির্বাচিত মেয়র এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন।

রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকাল ৪টার দিকে পৌরশহরের ভাঙ্গুড়া বাজারস্থ মৌচাক সিনেমা হল সংলগ্ন " বড়াল ফুটব্রীজের মাঝখানে স্থাপিত অস্থায়ী প্রতিমা বিসার্জন পর্যবেক্ষণ মঞ্চে এ ঘটনাটি ঘটেছে।

এদিকে আওয়ামী লীগ এ প্রভাব শালী নেতার সঙ্গে উপজেলা প্রশাসনের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ও চা চক্রের দৃশ্যের ঘটনাটি উপজেলা জুড়ে তীব্র সমালোচনার জন্ম দিয়ে ঝঁড় উঠেছে।স্থানীয় উপজেলা ও পৌর বিএনপি নেতৃবৃন্দ অবিলম্বে প্রশাসনের উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সককারী কমিশনার(ভূমি)' অপসারণ দাবি করেছেন। নেতৃবৃন্দ এই ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে তাদের ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন। ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায়, ইউএনও নাজমুন নাহার, এসিল্যান্ড তাসমীয়া আক্তার রোজী ও আওয়ামী লীগ নেতা বাকি বিল্লাহ পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে পাশাপাশি চেয়ারে বসে চা পান করছেন।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক হুমায়ুন কবির তার প্রতিক্রিয়ায় জানান, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের এ প্রভাবশালী নেতার সঙ্গে ইউএনও এবং এসিল্যান্ডের শারদীয় দুর্গোৎসব পালন মেনে নেওয়া যায় না। এমন প্রশাসন জনগণ মানবে না। তিনি প্রশাসনের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।

উপজেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আখিরুজ্জামান মাসুম বলেন, ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সকল নেতাকর্মীকে দেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রতিমা বিসর্জন অনুষ্ঠান পর্যবেক্ষণে প্রশাসনের কর্মকর্তাদের পাশে আওয়ামীলীগ নেতার উপস্থিতির বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে এসিল্যান্ড তাসমীয়া আক্তার রোজী বলেন, ফাঁকা চেয়ার থাকায় তিনি(বাকি বিল্লাহ) সেখানে গিয়ে হঠাৎ করেই আমাদের পাশে বসে পড়েন। তাকে তো আর আমরা জোড় করে তাড়িয়ে দিতে পারি না। আবার প্রশাসনে নিয়োজিত থাকায় প্রতিমা বিসার্জন অনুষ্ঠান শেষ না করে চলেও আসতে পারি না। আমরা আসলে অলৌকিত পরিস্থিতির শিকার।

ইউএনও নাজমুন নাহার বলেন,এটা উপজেলা প্রশাসনের কোন অনুষ্ঠান ছিল না। আমি তাকে আমন্ত্রণও করিনি। এটা একটা সার্বজনীন উৎসব। প্রতিমা বিসার্জনের সময় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিশ্চিত করতে আমরা উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা একটি উন্মুক্ত স্থানে বসে পর্যবেক্ষণ করছিলাম।সেখানে শত শত মানুষ উপস্থিত ছিলেন। সেখানকার একটা ফাঁকা চেয়ারে হঠাৎ তিনি(বাকি বিল্লাহ) গিয়ে বসে পড়েন।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে