শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১

স্ত্রী নিখোঁজ ঘটনায় মিথ্যা মামলায় অসহায় পরিবারটিকে হয়রানির অভিযোগ

মোল্লাহাট (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
  ১২ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:৩৭
ছবি : যায়যায়দিন

স্ত্রী নিখোঁজের ঘটনায় স্বামীর বাদীত্বে নিরাপরাধী এক কিশোর ও তার পিতার নামে মিথ্যা মামলা দায়ের সহ অসহায় এক পরিবারকে সীমাহীন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। নিখোঁজের স্থান এড়িয়ে নিরাপরাধী এক কিশোর ও তার পিতাকে জড়িয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের ও থানায় অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই মামলা ও অভিযোগের বাদী রফিকুল ইসলাম।

মামলার বাদী রফিকুল ইসলাম জানান, রূপসা থানাধীন নন্দনপুর এলাকার তার শশুর বাড়ী থেকে তার স্ত্রী সুরাইয়া গত ২৬ সেপ্টেম্বর নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হয়। ওই ঘটনায় শশুর, শাশুড়ি, শ্যালক ও মেঝ ভায়রা ভুল বুঝিয়ে ঘটনা স্থল তার নিজ বাড়ি সোনাডাঙ্গা থানাধীন পৌর কলোনী উল্লেখ করে তেরখাদা থানায় মিথ্যা অভিযোগ ও খুলনা কোর্টে মিথ্যা মামলা করায়।

পরবর্তীতে যাতে শশুর বাড়ির কারো বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সুযোগ না থাকে সেজন্য এ মিথ্যা মামলা করানো হয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বাদী রফিকুল ইসলাম আরও জানান, সুরাইয়া নিখোঁজ থাকলেও মোবাইলে তার বোন ও ভাবীর সাথে কথা বলেছে। এমতাবস্থায় সে তার স্ত্রীকে ফিরে পেতে চায়। আর যদি ফিরে না আসে তাহলে তার দেওয়া দূই ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ টাকা ফেরত পাওয়ার দাবিও জানান তিনি।

বাদী রফিকুলের মা আছিয়া বেগম বলেন, তার ছেলেকে ভুল বুঝিয়ে মিথ্যা মামলা করিয়েছে শশুর বাড়ির লোকজন।

নিখোঁজ সুরাইয়ার বোন ও ভাবী জানান, তাদের বাড়ি রূপসা থানাধীন নন্দনপুর থেকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে একই এলাকায় নানা বাড়ি বেড়াতে যাওয়ার কথা বলে নিখোঁজ হয়। এতো দিন তারা ভাবছিল তেরখাদা থানাধীন বসুন্দরীতলা এক ছেলের কাছে গেছে। গত ৫ অক্টোবর সন্ধ্যায় ফোনে কথা বলার পর বুঝতে পারছেন সেখানে যায়নি। সুরাইয়া ভালো আছে বলেও জানান তারা।

হয়রানির শিকার তেরখাদা থানাধীন বসুন্দরীতলা গ্রামের কবির শেখ বলেন, তিনি নিজে এবং তার ছেলে নিরব (১৭) মোল্লাহাট থানাধীন নগরকান্দি সোনালী বিড়ি ফ্যাক্টরির শ্রমিক। ওই মেয়েকে তারা চেনেন না। তাদের কাছে আসার বা আনার মতো কোনো সম্পর্ক নাই। অথচ মিথ্যা অভিযোগ ও মামলায় হয়রানি করছে। তাদের বাড়িতে পুলিশ এসে অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করেছে বলেও জানান তিনি।

শিশু শ্রমিক নিরব জানান, ওই মহিলার সাথে কেবল ম্যাসেঞ্জারে কথা হয়েছে, তাকে আপু বলে সম্বোধন করা হয়, শেষ ম্যসেজে তিনি লিখেছেন যে কাল চলে যাবেন, উত্তরে নিরব লিখেছেন আপু কোথাও যাইয়েন না। এরপর সুরাইয়ার স্বামী ও মা বাবা তাদের বাড়ি পুলিশ নিয়ে এসে হয়রানি করেছে।

যাযাদি/ এম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে