কুতুবদিয়ায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আ.লীগের সভাপতিসহ ৮৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা 

প্রকাশ | ১১ অক্টোবর ২০২৪, ১৮:৫৮

কুতুবদিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

গত ৪ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের এক দফা দাবিতে ছাত্রদের সমাবেশে হামলার অভিযোগ এনে কুতুবদিয়া সাবেক সাংসদ আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ তাহেরসহ ৮৬ জনের বিরুদ্ধে আবারও আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার  কুতুবদিয়া থানায় সাইফুল ইসলাম আরকান বাদী হয়ে মামলাটি করেন। 

এজাহার সূত্রে জানা যায়, কুতুবদিয়া মডেল হাই স্কুল এন্ড কলেজের ছাত্র এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুতুবদিয়া উপজেলার সংগঠক সাইফুল ইসলাম আরকান। গত জুলাই মাসে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু হলে কুতুবদিয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অসংখ্য শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। তারই প্রেক্ষিতে গত ৪ আগষ্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির ঘোষিত ১ দফা দাবীর আন্দোলনের কুতুবদিয়ার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্টানের শিক্ষার্থীরা কলেজ গেইট থেকে মিছিল সহকারে বড়ঘোপ উপজেলা গেইটের দক্ষিণ পাশে এসে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ শুরু করলে দুষ্কৃতকারীরা হামলা চালায়। এতে কাজী তাহমিদ, কাইয়ুম, মোকায়দ। বেগম, হিরা, আবির, শাকিল, সাদেকুর রহমান, রাকিব, মিটু, আজিব, রিজিকাসহ ২০ জন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী মাথায়, চোখে, বুকে, মুখে, পিঠে, হাত-পা, হাটুসহ শরীরের নানা জায়গায় মারাত্বক জখম হয়। ওই দিনের ঘটনা বিবরণ উল্লেখ করে সাবেক সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর, সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ তাহেরসহ ৮৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনের বিরুদ্ধে কুতুবদিয়া থানায় মামলা করেন। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে কুতুবদিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরমান হোসেন বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুতুবদিয়া উপজেলার সংগঠক সাইফুল ইসলাম আরকান বাদী হয়ে কুতুবদিয়া থানায় মামলা করেন। 

উল্লেখ,  গত ৩ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুতুবদিয়া উপজেলার আরেক সংগঠক মোহাম্মদ রিনওয়ানুল হক বাদী হয়ে কুতুবদিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে উপজেলা আ'লীগের সভাপতি আওরঙ্গজেব মাতবর ও সাধারণ সম্পাদক হাজী মোহাম্মদ তাহেরসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪০ থেকে ৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

যাযাদি/ এসএম