বরিশালের হিজলা উপজেলার একাধিক মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী কাজল কে হিজলা থানা পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
জানা যায় গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে সন্ত্রাসী কাজলকে হিজলা থানার ওসির নির্দেশে এস আই ইয়াদুল এর নেতৃত্বে গ্রেপ্তার করা হয়।
কাজল বরজালিয়া ইউনিয়নের সিদ্দিক রাড়ীর ছেলে। কাজলের সন্ত্রাসী কার্যকলাপের মুখে দলবল নির্বিশেষে অনেকেই ভয়ে দেশ ছাড়া ছিল।
আবার কেউ কাজলের ছুরিকাঘাতে ক্ষতবিক্ষত পঙ্গু হয়ে আছে।
কাজলের রামদা কোপ থেকে রক্ষা পায়নি উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি আমির নকিব। কুপিয়ে পেটের ভুরি বের করে ফেলেছিল।
কাজলের চাঁদাবাজির কাছে একসময় নীরব ছিল পুলিশ প্রশাসন।
কারো কাছ থেকে চাঁদা দাবি করলে দাবীকৃত টাকা না দিলে তার নিজের আস্তানায় নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন করতো এই কাজল।
সাব রেজিস্টার অফিসের নাইট ঘাট বিল্লালের মাথায় রামদা দিয়ে এলোপাথা কুপিয়ে জখম করে। প্রায় এক বছর হাসপাতালে মৃত্যু সাথে পাঞ্জা লড়ে। এখন কোনরকম বেঁচে আছে।
বড়জালিয়া ইউনিয়নের কুদ্দুস কারিগরের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ২০২১ সালে বেদম মারধর করে। ছেলে বাধা দিলে তাকে ও মারধর করে।
খুন্না গোবিন্দপুরে মোরশেদা নামে এক মহিলার মাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে চাঁদার টাকা না দেয়ায়।
উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমা বেগম কে দিন দুপুরে প্রাণনাশের হুমকি দেয়, নাজমা বেগম প্রশাসনিক সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছিল।
কাজলের বিরুদ্ধে হিজলা থানায় জিআর মামলা না ১০২/১৮ তারিখ ১১ ই আগস্ট ২০১৮।
জি আর মামলা না ১৯৪/২০২০ তারিখ ১৬ ই ডিসেম্বর ২০২০
জিআর মামলা নং ২৮/২০২০ তারিখ ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০জি আর মামলা নং ১০২/২০২০ ১২ই জুন ২০২০
জি আর মামলা নাম ৪০ তারিখ ১৫ই মার্চ ২০২২
জি আর মামলা নং ১৩ তারিখ ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ।
এছাড়াও বিভিন্ন থানায় কাজলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। হিজলা থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ জানান আমি হিজলার নতুন যোগদান করে জেনেছি কাজল নামে হিজলায় একজন দুর্দশা সন্ত্রাসী আছে, আমি আমার পুলিশকে বলেছি যেকোনো মূল্যে কাজলকে গ্রেফতার করতে হবে। এবং গতকাল তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছি।
যাযাদি/এসএস