ফরিদগঞ্জে ৫ আগস্ট গুলিতে নিহত কিশোরের লাশ উত্তোলন

প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৪৬

ফরিদগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি
ফাইল ছবি

গণ অভ্যুত্থানের দিন ৫ আগস্ট চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশের গুলিতে নিহত কিশোর শাহাদাত হোসেন (১৬) এর মরদেহ আদালতের নির্দেশে কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। বুধবার (৯ অক্টোবর) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আনিছুর রহমানের উপস্থিতিতে ওই কিশোরের মরদেহ তার নানার বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়নের বালিথুবা গ্রামের বেপারী বাড়ির কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলনের পর ময়না তদন্তের জন্য চাঁদপুর জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে মামলা তদন্তকারি কর্মকর্তা ফরিদগঞ্জ থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) শাসুজ্জামান বলেন, ৫ আগস্ট শাহাদাত হোসেন নিহতের ঘটনায় থানার উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই) ইকরামুল হক বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামী করে ফরিদগঞ্জ থানায় ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ৩। এ ঘটনায় মৃত কিশোর শাহাদাতের মরদেহ মহনা তদন্ত ছাড়াই দাফন করা হয়। শাহাদাত হোসেন রায়পুর উপজেলার আমির হোসেন ও সিরতাজ বেগম দম্পতির ছেলে । 

তিনি আরও বলেন, শাহাদাত হোসেন ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা পুর্ব ইউনিয়নের বালিথুবা গ্রামে তার নানার বাড়িতে থাকতো। ঘটনারপর তার নানার বাড়িতে মরদেহ দাফন করা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে লাশের ময়না তদন্তের জন্য বুধবার (৯ অক্টোবর) নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। 

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকারে পতনের পর ফরিদগঞ্জ উপজেলা সদরে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিক্ষুব্ধরা আনন্দ মিছিল করে। বিকেলে একটি বিক্ষোভ মিছিল থানায় প্রবেশের চেষ্টাকালে গেট ভেঙে ফেললে পুলিশ আত্মরক্ষার্থে গুলি চালালে শাহাদাত হোসেন ও এমরান হোসেন (৩৮) নামে দুজন গুলিবিদ্ধ হয়। এতে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। আহতদের উদ্ধার করে ফরিদগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক তাঁকে দ্রুত চাঁদপুর রেফার করলে পথেই তাঁর মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান জুয়েল।

এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ এমরান হোসেনের বাড়ি ফরিদগঞ্জ উপজেলার গুপ্টি পশ্চিম ইউনিয়নের আদশা গ্রামে। সে ওই গ্রামের শাহাজাহানের ছেলে।

যাযাদি/ এস