সিলেটে গুলিবিদ্ধ স্কুলছাত্র রায়হান মৃত্যুর দুয়ারে

প্রকাশ | ১০ অক্টোবর ২০২৪, ১৪:৪৩

সিলেট অফিস
ছবি : যায়যায়দিন

সিলেটের দক্ষিণ সুরমায় ৫ আগস্ট আনন্দ মিছিলে স্কুলছাত্রকে গুলি করে গুরুতর আহত করার ঘটনায় মামলা হয়েছে। দক্ষিণ সুরমার চন্ডীপুল এলাকায় আব্দুস সামাদ আজাদ চত্বরের পূর্বদিকে ইসলামী ব্যাংকের সাইনবোর্ডের পাশে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর আহত সিলাম পদ্মলোচন (পিএল) বহুমূখী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রায়হান আহমদের (১৬) পিতা মো. নানু মিয়া বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সিলেট সিটি করপোরেশেনের সাবেক মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীসহ ৫ জনের নামোল্লেখ করে এ মামলা করেন। মামলার নম্বর ১৬(০৯)২৪।

 

মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ১৫/২০ জনকে আসামী করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামিরা হলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, সাবেক সংসদ সদস্য শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নাসির উদ্দিন খান এবং সিলেট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাহেল সিরাজ। দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি আবুল হোসেন মামলা রেকর্ডের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


মামলায় বাদী দক্ষিণ সুরমার সিলাম ঢালীপাড়ার মো. নানু মিয়া এজাহারে উল্লেখ করেন, তার ছেলে রায়হান আহমদ ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সিলেটে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছিলো। ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর শফিকুর রহমান চৌধুরী ও আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর নির্দেশে মামলার আসামীরা অজ্ঞাত আসামীদের নিয়ে আনন্দ মিছিলে সশস্ত্র হামলা চালায়। এ সময় মামলার ৫ নম্বর আসামী রাহেল সিরাজের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি গুলি করলে আনন্দ মিছিলে থাকা রায়হান মাথার পেছন দিকে গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের চূড়ান্ত বিজয়ের দিনে আনন্দ মিছিলে অংশ নেওয়া শিমুল ও মামুনসহ স্থানীয় জনতা রায়হানকে উদ্ধার করে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ সময় হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তাররা মাথা থেকে গুলি বের করার জন্য বলেন। গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন স্কুলছাত্র রায়হানকে স্থানীয় গণ্যমান্য লোকজনের সহযোগিতায় ১৬ আগস্ট ঢাকায় ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্স ও হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে ভর্তি করা হয়।


দক্ষিণ সুরমা থানার ওসি আবুল হোসেন বলেন, স্কুলছাত্র রায়হান ঢাকায় চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরলে তার পিতা আহত রায়হান ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বর্ণনা অনুযায়ী মামলা করেছেন। তাকে আবারো ঢাকায় স্থানান্তর করা হয়েছে। সাভারের সিআরপিতে চলছে রায়হানের চিকিৎসা। মামলার আসামিদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশি তৎপরতা চলমান রয়েছে।

যাযাদি/ এস