কোটচাঁদপুর সরকারী হ্যাচারীতে লুটপাটের অভিযোগ

প্রকাশ | ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৭:১১

কোটচাঁদপুর (ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি
ছবি : যায়যায়দিন

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর বলুহর কেন্দ্রীয় মৎস্য হ্যাচারী কমপ্লেক্সের ম্যানেজার ও দক্ষ ফিসারম্যানের যোগসাজসে অবৈধ পন্থায় সরকারী অর্থ লোপাটের অভিযোগ উঠেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৯ সেপ্টেম্বর সকালে সরকারী এ হ্যাচারীর পুকুর থেকে বড় সাইজের পোনা মাছ ধরে সরকারী রশিদ ছাড়াই পার্শ্ববর্তী বাঁওড়ে নিয়ে যাওয়ার সময় এলাকাবাসী বাঁধা দেয়। এসময় সেখানে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। পরে মাছ গুলি সেই পুকুরেই ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 

বলুহর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের ছেলে জুয়েল একই গ্রামের মালেক মÐলের ছেলে শরিফুল ও বলুহর ষ্ট্যান্ড পাড়ার আব্দুর  রহমানের ছেলে সাইদুর অভিন্ন অভিযোগ করে বলেন, হ্যাচারী ম্যানেজার আশরাফুল ইসলামকে সম্প্রতি ওই প্রতিষ্ঠানের ট্রনিং সেণ্টারে বদলী করা হয়েছে। 

পরবর্তী ম্যানেজার যোগদান করার আগেই সাবেক দায়িত্বরত ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম হ্যাচারীর পুকুর থেকে চোরাই পথে মাছ পাশের বলুহর বাঁওড়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন। যা আমরা হাতেনাতে ধরে সেই পোনা মাছ আবারো হ্যাচারীর পুকুরে ছেড়ে দিয়েছি। 

হ্যাচারীর মাষ্টার রোলের গার্ড হাবিবুর রহমান ও গার্ড নজরুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, হ্যাচারীর পুকুরের রক্ষিত পোনা মাছের খাবার ঠিকমত দেয়া হয় না। পুকুরের মাছ হয়ে গেছে কঙ্কলসার। অথচ মাছের খাবার গুদাম জাত করে রাখা হয়েছে। তারা বলেন, কিছুদিন আগে বেশ কয়েক বস্তা মাছের খাবার বাইরে বিক্রি করে দেন হ্যাচারীর দক্ষ ফিসারম্যান মিজানুর রহমান। 

অথচ হ্যাচারীর ম্যানেজার আশরাফুল ইসলাম ও দক্ষ ফিসারম্যান মিজানুর রহমান মাছের খাবার চুরির বিষয়ে আমাদেরকে দোষারোপ করেছেন। অভিযোগকারীরা সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্তা ব্যক্তিদের কাছে সুষ্ঠু তদন্তে মাধ্যমে ব্যবস্থা  গ্রহণের দাবী জানিয়েছেন। এ দিকে হ্যাচারী ম্যানেজার আশরাফল ইসলাম জানান, অভিযোগকারীরা দীর্ঘদিন ধরে সরকারী হ্যাচারীটিকে তাদের কব্জায় নেয়ার জন্য এমন কোন চেষ্টা নেই যে তারা করে নাই। গত ৫ই আগষ্টের পর থেকে তারা প্রকাশ্য সরকারী কাজে বাঁধা দানের মত ঘটনা ঘটিয়ে আসছে। 

তিনি বলেন, আমার  দায়িত্ব সরকারী হ্যাচারীটি রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতের পোনা মাছ উৎপাদন করা এবং তা বিক্রির মাধ্যমে সরকারের দেয়া টারগেট পূরণ করা। অথচ ওই সকল ব্যক্তিরা বাঁধাদান করছেন। 

এ নিয়ে আমি ভীষণ উদ্বীগ্ন। বিষয়টি নিয়ে আইনী পদক্ষেপ নিচ্ছেন না কেন ? এমন প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এ প্রতিষ্ঠানের সাথে কারুর বিরোধ আমি চাইনা, সরকারী এ প্রতিষ্ঠানে অপকর্মের চেষ্টার যথেষ্ট ডকুমেণ্ট আমার কাছে আছে।এখনো তারা শান্ত না হলে। শেষমেশ ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

যাযাদি/ এম