বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১

রাজশাহীতে সাবেক এমপি ডা. মনসুরসহ শতাধিক নেতাকর্মীর নামে মামলা 

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি
  ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৫৮
ছবি: যায়যায়দিন

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের আওয়ামী লীগের দলীয় সাবেক সাংসদ প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান এবং ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম সাবু সহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের প্রায় শতাধিক নেতাকর্মীর নামে রাজশাহীর আদালতে ফের মামলা দায়ের হয়েছে। মামলায় ৭৩ জন এজাহার নামীয় আসামী ছাড়াও অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামী করা হয়েছে।

এদিকে আদালতে দাখিল করা বাদীর এজাহার আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআইকে মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন বিজ্ঞ আদালত।

মঙ্গলবার দুপুরে রাজশাহীর দুর্গাপুর আমলী আদালতে উপস্থিত হয়ে বিএনপির সাবেক সাংসদ এড. নাদিম মোস্তফার প্রচার মিছিলে হামলা ও হত্যা চেষ্টার অভিযোগে মামলাটি দায়ের করেন দুর্গাপুর উপজেলার জয়নগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইয়াদ আলী।

আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ প্রফেসর ডা. প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান ছাড়াও মামলার উল্লেখযোগ্য আসামীরা হলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাদী আন্দোলনের (বিএনএম) দলীয় সংসদ সদস্য প্রার্থী শরিফুল ইসলাম সাবু, দাওকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক হাফিজুর রহমান হাফিজ, বাজুখলসী গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা আমীর আলী, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুজ্জামান শরিফ, পৌরসভার সাবেক মেয়র সাজেদুর রহমান মিঠু, দেলুয়াবাড়ি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান রিয়াজুল ইসলাম, পৌর যুবলীগের সভাপতি বেলাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি শাকিল খান, সাধারণ সম্পাদক আতিকুর রহমান রিপন, সাবেক সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, যুগীশো গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী আয়নাল হক, হরিরামপুর গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী আব্দুল হালিম, নওপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম, ঝালুকা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান, ঝালুকা ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইমরান আলী প্রমূখ।

বাদীর আইনজীবী এড. আজিমুস সান (উজ্বল) বলেন, ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রাজশাহী-৫ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পান প্রফেসর ডা. মনসুর রহমান। অপরদিকে বিএনপির মনোনয়ন পান সাবেক সাংসদ এড. নাদিম মোস্তফা। ২০১৮ সালের ১৪ জুলাই নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে জয়নগর ইউনিয়নের কানপাড়া বাজারে পথসভা করার উদ্দেশ্যে জড়ো হোন বাদী সহ বিএনপির সাবেক সাংসদ এড. নাদিম মোস্তফা। এ সময় আসামীরা দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে পথসভায় হামলা চালিয়ে মারপিট ও নির্বাচনী কার্যালয় ভাংচুর করে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের তান্ডবে বিএনপির নেতাকর্মীরা দিকবিদিক পালিয়ে গিয়ে জীবন রক্ষা করে। ওই সময় আসামীরা ক্ষমতাসীন দলের লোক হওয়ায় থানায় মামলা দায়ের করতে পারেননি বাদী। এমনকি প্রাণভয়ে আদালতেও মামলা করার সাহস পাননি।

এড. আজিমুস সান (উজ্বল) আরও বলেন, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যুত হলে বাদী অদ্য আদালতে উপস্থিত হয়ে এজাহার দায়ের করলে বিজ্ঞ আদালত বাদীর আবেদন আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআইকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের আদেশ দিয়েছেন।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন- পিবিআই'র রাজশাহীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, আদালত থেকে এ সংক্রান্ত মামলার কোনো নথি তদন্তের জন্য আমাদের কাছে এখনো (মঙ্গলবার সন্ধ্যা পর্যন্ত) আসেনি। আদালতের আদেশ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

যাযাদি/ এসএম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে