পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হিন্দু ধর্মবীলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দূর্গা পূজার প্রস্তুতি সম্পন্ন।উপজেলার ১টি পৌর এলাকা সহ ৬টি ইউনিয়নের পূজা মন্ডপ গুলো ঘুরে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাথে কথা বলে এমন চিত্র জানা গেছে। বুধবার মহালয়ার মধ্য দিয়ে দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) শুক্লা পঞ্চমীর মধ্য দিয়ে দেবীর বোধন। বুধবার দুর্গা দেবীর ষষ্ঠাদি কল্পারম্ভ ও বিহিতপূজা হবে। বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের কাছে দেবী দুর্গা সব অশুভ শক্তি বিনাশের প্রতীক রূপে পুজিত হয়ে থাকেন।
গত বছর এ উপজেলায় ১৯টি পূজা মন্ডপে পূজা হলেও এবার ১টি পূজা মন্ডপে বেড়ে ২০টি পুজামন্ডবে পূজা হবে। সদরের ভাঙ্গুড়া বাজারের শ্রী শ্রী কালী মন্দিরে পূজা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সংগীত কুমার পাল বলেন, এ তারা বছর শারদীয় দুর্গাপূজায় দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য প্রার্থনা সঙ্গীত, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বোলন ও আরতী প্রতিযোগিতা সহ নানা আয়োজন করছেন।
প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা এছাড়া নিরাপত্তার জন্য গঠন করা হয়েছে মন্ডপ ভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবক দল।
উপজেলা পূজা পরিষদের সভাপতি মলয় কুমার দেব জানান স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হিন্দু ও মুসলমানদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রয়েছে। ভাঙ্গুড়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো.শফিকুল ইসলাম জানান,শান্তিপূর্ণ ও ধর্মীয়ভাবগাম্ভীরে্যর মধ্যদিয়ে দুর্গা পুজা উদযাপনের জন্য মন্দিরে মন্দিরে নিরাপত্তায় আনসার-ভিডিপি সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশও দায়িত্ব পালন করছে।তাছাড়া ভ্রাম্যমান স্টাইকিং ফোর্সেও নিরবিছিদ্র নিরাপত্তার জন্য মন্দিরে দায়িত্ব পালন করছে। ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও উপজেলা প্রশাসক মোছা.নাজমুন নাহার বলেন, শান্তিপূর্ণ ভাবে পুজাউদযাপনের জন্য উপজেলা,পৌর সদরের প্রতিটি পুজামন্ডবের সভাপতি-সম্পাদক, পৌর ও উপজেলা পুজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দের সাথে উপজেলা ও পৌর প্রশাসনের সাথে একাধিক বার মতবিনিময় সভা করা হয়েছে।
যাযাদি/ এসএম