নেত্রকোণার কেন্দুয়া উপজেলায় ৩৬টি মণ্ডপে বাঙালি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজা আয়োজনের সব প্রস্তুতি শেষ ।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে সরেজমিনে দেখা যায়, কেন্দুয়া পৌর শহরের কেন্দ্রীয় হরিসভা দূর্গা মন্দির ও কান্দিউড়া সাহাপাড়া দূর্গা মন্দিরের কাজ শেষ ।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলায় ১টি পৌরসভা ও তেরটি ইউনিয়ন থাকলেও কান্দিউড়া ও মোজাফরপুর ইউনিয়নে এ বছর কোন পূজা মণ্ডপ স্থাপন করা হয় নি । তাছড়া গত বছরের চেয়ে নানা কারণে মোট ১৫ টি পূজা মণ্ডপ কম রয়েছে ।
সবকিছু মিলিয়ে জাগতিক ও পারলৌকিক মঙ্গলের মূলমন্ত্রকে পাথেয় করে আগামী বুধবার (৯ অক্টোবর) থেকে রবিবার (১৩ অক্টোবর) পর্যন্ত ঢাকের বাদ্যে মেতে ওঠবে উপজেলার হাজারো সনাতন ধর্মাবলম্বীরা । দেবী দূর্গার আগমনে দূর হবে সকল অশুভ শক্তি । পূজা মণ্ডপগুলোর মধ্যে অতি গুরুত্বপূর্ণ ৮টি, গুরুত্বপূর্ণ ৮ টি ও সাধারণ পূজা মন্ডপ রয়েছে ২০টি । তাছাড়া সীমান্তবর্তী পূজা মন্ডপ রয়েছে বলা যায় দুটি (২)- কৃষ্ণরামপুর নয়াপাড়া দুর্গামন্দির ও দলপা ইউপির ভাদেরা দুর্গামন্দির ।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সজল কুমার সরকার বলেন, আমাদের সব রকম প্রস্তুতি প্রায় শেষ । প্রতিটি পুজা মন্ডপে শান্তি -শৃঙ্খলা বজায় রেখে পুজা উদযাপিত হবে । ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার অংশ গ্রহণে বাঙালি সম্প্রীতি আরো সুদৃঢ় বন্ধনে আবদ্ধ হবে বলে প্রত্যাশা করি ।উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সাধারণ সম্পাদক সুনীল পোদ্দার বলেন, ধর্ম যার যার উৎসব সবার । সবার মিলিত প্রচেষ্টায় অন্যান্য বারের মতো এবারও সুন্দর ও নিরাপদ পরিবেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দূর্গা পূজা উদযাপন করা হবে ।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মিজানুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমরা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছি । ইতোমধ্যে বিট পুলিশের সদস্যরা তাদের কার্যক্রম অব্যহত রেখেছে । পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক ও চৌকিদার প্রতিটি পূজা মন্ডপে নিরাপত্তায় তৎপর থাকবে । মূলত ষষ্ঠী থেকে এ কার্যক্রম আরো জোরদার করা হবে ।
যাযাদি/এসএস