ইলিশের দাম সিন্ডিকেট করে বাড়ানো হচ্ছে : ডিসি

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫২

চাঁদপুর প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

ইলিশের পেছনে জেলে কিংবা মাছ ব্যবসায়ী কার কোনো ধরনের  ইনভেস্টম্যান্ট নেই, জিরো ইনভেস্টম্যান্ট। তারপরও প্রতিবছর ইলিশের দাম বাড়ানো হচ্ছে। আমি মনে করছি, এটা সিন্ডিকেটের কাজ। তারাই সিন্ডিকেট করে দাম বাড়াচ্ছেন ইলিশের । এ জন্য আমি এই ইলিশের বাড়ি চাঁদপুরে থাকা অবস্থায় এই সিন্ডিকেট ভাঙবো। যাতে করে ইলিশ সবাই খেতে পারে।  

সোমবার রাতে চাঁদপুর মৎস্য বনিক সমিতির কার্যালয়ে জেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ আয়োজিত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান উপলক্ষ্যে বিভিন্ন পর্যায়ে স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন।

জেলা প্রশাসক বলেন, আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ রক্ষায় আমরা প্রশাসন চাঁদপুরের পদ্মা মেঘনা নদী এলাকায় এবার ২৪ ঘন্টাই মনিটরিং করবো। আমাদের কাছে কোন রাত থাকবে না। 

তিনি আরও বলেন, আমাদের জাতীয় মাছ ইলিশের জন্য বদলে যেতে হবে আমাদের সবাইকে। যেভাবে ছাত্ররা আন্দোলন করে বদলে দিয়েছে বাংলাদেশকে। কারণ, এই ইলিশকে বাঁচাতে আমাদের সকলের প্রচেস্টা প্রয়োজন। এজন্য আমরা এবার অতিরিক্ত কোষ্টগার্ড, নৌ-পুলিশ সদস্য আনাবো। এছাড়া সেনাবাহিনী ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যদের সহযোগিতা নেব। যাতে করে নিষিদ্ধ সময়ে একটি ইলিশও কেউ যেন ধরতে না পারে। এই ২২দিন যেই ইলিশ ধরবে বা কিনবে তাকেই আমরা জেলে দিব। এ সময় এ জেলার কোথাও এ সময় একটি বরফকলও খুলতে দেওয়া হবেনা।
বিশেষ করে অসময়ে মা ইলিশ বা জাটকা ইলিশ যারা ধরে আসছেন চাঁদপুরের প্রতিটি এলাকা থেকে সে সমস্ত জেলেদের গডফাদারদের এবার তালিকা করে তাদের ধরে শাস্তির আওতায় আনবো। তাছাড়া চাঁদপুরে যে ৪৩ হাজার জেলের তালিকা রয়েছে। তাদের মধ্যে অনেকেই প্রকৃত জেলে নয়। আমরা অতি শিঘ্রই হালনাগাদ করে প্রকৃত জেলেদের তালিকা করবো।

চাঁদপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো.গোলাম মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আব্দুর রকিব পিপিএম, নৌ পুলিশের চাঁদপুর অঞ্চলের পুলিশ সুপার সৈয়দ মোশফিকুর রহমান, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি শাহাদাত হোসেন, জেলা মৎস্য বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি আব্দুল বারী জমাদার মানিক, সাধারণ সম্পাদক হাজী শবে বরাত সরকার, মৎস্য ব্যবসায়ী আকবর আলী প্রমুখ।

যাযাদি/ এসএম