টিকটক বানানোর কথা বলে কিশোরকে হাত-পা বেঁধে দিঘিতে ফেলে হত্যা

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫৬ | আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৫:৫৮

স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী
নিহত ইয়াসিন আরাফাত (১৫)

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলায় টিকটক বানানোর কথা বলে এক কিশোরকে হাত-পা বেঁধে দীঘিতে  ফেলে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুই কিশোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

নিহত ইয়াসিন আরাফাত (১৫) উপজেলার ঘোষবাগ ইউনিয়নের উত্তমপুর লামছি গ্রামের মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের ছেলে।
সোমবার দুপুরে কবিরহাট পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের বঙ্গের দিঘী থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করের পুলিশ।
 
এর আগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে তাকে মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে দীঘিতে ফেলে হত্যা করা হয়।  আটক দুই কিশোর হলেন উত্তমপুর লামছি গ্রামের মহিন উদ্দিনের ছেলে আমির হোসেন জিহাদ (১৫) ও কবিরহাট পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর অজিউল্যার ছেলে ইব্রাহীম খলিল আকিল (১৭)।  

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, আরাফাতকে কিছু ছেলের সাথে চলাফেরা করতে বারণ করে তার চাচাতো ভাই আমির হোসেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আরাফাত তাকে মারধর করে। পরে আমির আরফাতকে হত্যার কৌশল খুঁজতে থাকে। আরেক বন্ধু আকিলের সাথে পরামর্শ করে আরাফাতকে গত ২৬ সেপ্টেম্বর টিকটিক বানানোর কথা বলে ডেকে নিয়ে যায় আমির। এরপর কবিরহাট পৌরসভার বঙ্গের দিঘীর পাড়ে নিয়ে টিকটক বানানোর কথা বলে কৌশলে তার মুখে কসটেপ পেঁচিয়ে, হাত-পা বেঁধে দীঘির পানিতে ফেলে দিয়ে চলে যায়।  

নোয়াখালী সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোর্তাহীন বিল্লাহ বলেন, নিখোঁজের তিনদিন পর এ ঘটনায় নিহত কিশোরের মা শাহানারা আক্তার কবিরহাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ঘটনার ১১দিন পর পুলিশ অভিযুক্ত দুই কিশোরকে আটক করে। এক পর্যায়ে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে মরদেহ উদ্ধার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়।

যাযাদি/ এসএম