আবরার হত্যার ৫ বছর: ‘ছেলের আম্মু আম্মু ডাক এখনো কানে বাজে’

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১৩:৩৩

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর দিবাগত রাতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হল ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীর নির্মম নির্যাতন নিহত হন আবরার ফাহাদ। বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন আবরার। আজ সোমবার (৭ অক্টোবর) আবরার ফাহাদ হত্যার ৫ বছর।

সকালে কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই সড়কের পাশে আবরারের বাড়িতে গেলে মা রোকেয়া খাতুনের সাথে কথা হয়। বাড়িতে তিনি একাই ছিলেন। আবরারের একমাত্র ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বুয়েটে যন্ত্র কৌশলে দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। আবরার ফাহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বুয়েটে কয়েকটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তার বাবা বরকত উল্লাহ ঢাকাতে গেছেন।

অশ্রুসিক্ত চোখে আবরারের মা রোকেয়া খাতুন বলেন, এইদিন সকালে ছেলেকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছিলাম। বিকেলে বুয়েটে পৌঁছায়। এরপর তাকে ছাত্রলীগের ছেলেরা ডেকে রাতভর নির্যাতন করে হত্যা করেছিল। এ সময় শোকেসের গ্লাস সরিয়ে একটি ল্যাপটপ ও দুটো মোবাইলফোন বের করে দু হাতে নেড়ে চেড়ে বললেন, এগুলো ছেলের। যত্নে রেখেছি আজও। এবার বললেন, জানো বাবা আজ যদি আমার ছেলে বেঁচে থাকতো তাহলে চাকরি করতো। আরও কত কি হতো। এভাবেই স্মৃতিচারণ করতে থাকেন মা রোকেয়া খাতুন। 

তিনি বলেন, ছেলের আম্মু আম্মু ডাক এখনও কানে বাজে। ভুলতে পারি না। কিভাবে ভুলবো। এই সন্তানকে ভোলার নয়। তাকে যেভাবে হত্যা করা হয়েছে সেটা মনে হলেই শিউরে উঠি।

হত্যা মামলার রায় হয়েছে। আসামিদের ফাঁসির আদেশ হয়েছে। কেউ কেউ পলাতক রয়েছে। তাদের দ্রুত গ্রেফতার এবং আসামিদের দ্রুত ফাঁসি কার্যকের জোর দাবি জানান মা রোকেয়া খাতুন।

দিবসটি উপলক্ষে আজ সকালে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার কয়ায় তার কবরস্থানে দোয়া করেন মা রোকেয়া খাতুন। 

যাযাদি/ এসএম