টেকনাফে বালুতে পুঁতে রাখা রোহিঙ্গা নারীর লাশ উদ্ধার

প্রকাশ | ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ১২:০১

টেকনাফ প্রতিনিধি
ছবি: যায়যায়দিন

কক্সবাজারের সীমান্ত উপজেলা টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় বালুতে পুঁতে রাখা এক রোহিঙ্গা মহিলার মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে তার আনুমানিক বয়স ৮০ বছর। 

গেল রাত সোমবার ১২টার দিকে টেকনাফের বাহারছড়া নোয়াখালী পশ্চিম পাড়া মেরিন ড্রাইভের পাশে খালি মাঠ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। তবে তাঁর পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন। 

পুলিশের ধারণা, মানব পাচারকারীরা টাকার বিনিময়ে মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গাদের একটি দল নিয়ে আসে। এসময় রোহিঙ্গাদের সঙ্গে থাকা স্বর্ণ ও টাকা লুটপাট চালানো হয়। এতে ওই রোহিঙ্গা নারী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। পরে পাচারকারীরা লাশটি মাটিতে পুঁতে রাখে পালিয়ে যায়। 

এ তথ্য নিশ্চিত করে টেকনাফ মডেল থানার (ওসি) মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন বলেন, মেরিন ড্রাইভের পাশে মাটির নিচ থেকে এক রোহিঙ্গা নারীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারনা করা হচ্ছে মানব পাচারকারীরা মৃতদেহটি মাটির নিচে পুঁতে রাখে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বেশ কয়েকজন দালালের নাম পাওয়া গেছে, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার পাঠানোর হয়েছে। 

স্থানীয় ইউপি মেম্বার আবদুর গফুর বলেন, পাহাড়ি মানব পাচারকারীরা প্রতিনিয়ত রোহিঙ্গা পারাপার করছে। এরই অংশ হিসেবে গত শুক্রবার নৌকায় রোহিঙ্গাদের একটি দল মিয়ানমার থেকে এনে সৈকত দিয়ে প্রবেশ করে। সেসময় ওই রোহিঙ্গা নারী মৃত্যুর ঘটনা ঘটে বলে শুনেছি। এসময় নৌকায় থাকা বেশ কিছু রোহিঙ্গাদের কাছ থাকা স্বর্ণ ও টাকা লুটপাট চালায় মনব পাচারকারীরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী এক যুবক যায়যায়দিনকে জানান, এলাকার চিহ্নিত অস্ত্রধারি, মাদক ও মানব পাচারকারি সৈয়দ আহমেদ ছেলে জয়নাল ও মীর আহমেদের ছেলে নুরুল আলম সহ একটি মানবপাচারকারী দালাল সিন্ডিকেট মিয়ানমার থেকে প্রতিনিয়ত ফিশিং ট্রলার করে রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ করায়। এ সময় তারা স্বর্ণ ও টাকা লুটে নিলে নির্যাতনে রোহিঙ্গা মহিলাটি মারা যায়। পরে নোয়াখালী কোনাপাড়া মেরিন ড্রাইভ সংলগ্ন এলাকায় মাটিতে পুঁতে রেখে পালিয়ে যায়। তাদেরকে গ্রেফতার করা হলে ঘটনার আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসবে। 

যাযাদি/ এসএম